পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সবধরনের মসলা জাতিয় পণ্যের সরবরাহ কম থাকার অভিযোগ তুলে বেড়েছে মসলার দর। বাজারের ক্রেতাদের দাবি স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক দর মনিটরিং জোরদার করা গেলে দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে ।
ফরিদপুরে প্রাণ কেন্দ্র চকবাজার । যেখানে সারা বছরই মসলা জাতিয় পণ্য সরবরাহ করে পাইকাররা। এই বাজার থেকেই খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি করা হয়।
বাজার ঘুরে দেখা যায় এখানে দেশী ও আমদানিকৃত আদা বিক্রয় হচ্ছে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত । যা গত এক সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে। এই বাজারে ধুনিয়ার, লবঙ্গ, দারুচিনিসহ দাম বেড়েছে বেশ কিছু মশলার। মুসলিম ধর্মীয় বড় উৎসব ঈদুল আযাহায় মসলা জাতিয় পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি দরে এ পন্যগুলো বিক্রয় হচ্ছে।
বাজারে এলাচ কেজি প্রতি ২৫শ থেকে ২৭শ, জিরা কেজি প্রতি সাড়ে ৯শ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে । শুধু এই পণ্যই নয় অন্য মসলায় ও বাজার দর উর্দ্ধমূখী হয়েছে।
ব্যবসায়ী মুতাকিন হোসেন, হরি সাহা, আবুল হোসেনসহ আরো কয়েক জন বলেন, পাইকারি বাজারের মসলা পণ্যের সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামে কিনে আনি তাই বেশি দামে বিক্রি করি। এছাড়াও ঈদের আগে যে ভাবে বেচাকেনা হয় এবার তা হচ্ছে না বলে জানালো এ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
চকবাজারে মসলা কিনতে আসা এক ক্রেতা জানালেন, বাজারে গিয়ে যে পণ্যগুলো কিতে চাই তার পারছিনা অধিক দামের কারনে। প্রত্যেকটি পণ্যেরই দর বেড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার।
এই বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন, বাজার মনিটরিং আমাদের নিয়মিত রুটিন । তার পরেও ঈদে সামনে জেলা নয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে বাজার মনিটরিং নিয়মিত করা। এছাড়াও ভোক্তা অধিদপ্তরকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি বাজারের ভোজ খবর রাখতে । প্রয়োজনে মোবাইল কোট পরিচালনা করতে ।
প্রিন্ট