ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভূরুঙ্গামারীতে ফিল্মি স্টাইলে তুলে এনে হাত পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এক স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মেয়ে পক্ষের লোকজন এক যুবককে তুলে এনে হাত পা বেঁধে বেদম মার পিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার পিটের পর ওই ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে এমন একটি নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করছে কিছু লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের বৈদ্যতিক মিস্ত্রী নুরু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান শান্ত (২০) প্রায় সময় একই গ্রামের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। ওই স্কুল ছাত্রী তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তার বাবা মাকে জানায়। এ বিষয়ে ইতিপুর্বে গ্রাম্য বিচার হলেও ওই ছাত্রীকে দেখামাত্র তার বুকে ট্যাটো আমি দেওয়ানা লেখা দেখাতো এবং বিভিন্ন অঙ্গীভঙ্গী করতো।
পরে গত ৪ জুন ওই স্কুল ছাত্রী তার বান্ধবীসহ প্রাইভেট পড়ে ভুরুঙ্গামারী সরকারী কলেজ মোড় সংলগ্ন মজনু মিয়ার বাড়ীর  সামনে আসা মাত্র ওই যুবক শান্ত তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য পথরোধ করে দাড়ায়। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাপটে ধরলে ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক মজনু পিয়ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। অপরদিকে পরের দিন ৫ জুন আবারও ওই ছাত্রীকে আটক করে জাপটে ধরার সময় মেয়েটি আর্তচিৎকার করলে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে। পরে পুলিশি পাহাড়ায় এলাকাবাসী ওই যুবককে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় সোপর্দ করে এবং ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ের বাবা মনসুর আলী বলেন, আমরা তো ওই ছেলেকে মারপিট করিনি। সে অপরাধ করেছে স্থানীয় লোকজন তাকে মারপিট করেছে। আমাদেন কি করার বলেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই যুবকের বাবা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্থাব দিয়েছে এটা সত্যি কথা। এনিয়ে একবার বিচার সালিশও হয়েছে। আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্থাব দিয়েছে এ কারণে গতকাল দুইটা মোটরসাইকেল এসে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে বেদম মারপিট করেছে মেয়ে পক্ষের লোকজন। পরে ছেলে আমার অসুস্থ হলে তারা হাসপাতালে ভর্তি করায়। একজন অপরাধ করলে কি নিজের হাতে আইন তুলিয়ে নেয়া যাবে বলেন। সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিচার আইন করতো। কেন তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিলো। আমিও এর বিচার চাই। আমিও তাদের নামে থানায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাবাও তার ছেলেকে মারপিটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

ভূরুঙ্গামারীতে ফিল্মি স্টাইলে তুলে এনে হাত পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এক স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মেয়ে পক্ষের লোকজন এক যুবককে তুলে এনে হাত পা বেঁধে বেদম মার পিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার পিটের পর ওই ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে এমন একটি নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করছে কিছু লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের বৈদ্যতিক মিস্ত্রী নুরু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান শান্ত (২০) প্রায় সময় একই গ্রামের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। ওই স্কুল ছাত্রী তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তার বাবা মাকে জানায়। এ বিষয়ে ইতিপুর্বে গ্রাম্য বিচার হলেও ওই ছাত্রীকে দেখামাত্র তার বুকে ট্যাটো আমি দেওয়ানা লেখা দেখাতো এবং বিভিন্ন অঙ্গীভঙ্গী করতো।
পরে গত ৪ জুন ওই স্কুল ছাত্রী তার বান্ধবীসহ প্রাইভেট পড়ে ভুরুঙ্গামারী সরকারী কলেজ মোড় সংলগ্ন মজনু মিয়ার বাড়ীর  সামনে আসা মাত্র ওই যুবক শান্ত তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য পথরোধ করে দাড়ায়। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাপটে ধরলে ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক মজনু পিয়ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। অপরদিকে পরের দিন ৫ জুন আবারও ওই ছাত্রীকে আটক করে জাপটে ধরার সময় মেয়েটি আর্তচিৎকার করলে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে। পরে পুলিশি পাহাড়ায় এলাকাবাসী ওই যুবককে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় সোপর্দ করে এবং ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ের বাবা মনসুর আলী বলেন, আমরা তো ওই ছেলেকে মারপিট করিনি। সে অপরাধ করেছে স্থানীয় লোকজন তাকে মারপিট করেছে। আমাদেন কি করার বলেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই যুবকের বাবা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্থাব দিয়েছে এটা সত্যি কথা। এনিয়ে একবার বিচার সালিশও হয়েছে। আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্থাব দিয়েছে এ কারণে গতকাল দুইটা মোটরসাইকেল এসে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে বেদম মারপিট করেছে মেয়ে পক্ষের লোকজন। পরে ছেলে আমার অসুস্থ হলে তারা হাসপাতালে ভর্তি করায়। একজন অপরাধ করলে কি নিজের হাতে আইন তুলিয়ে নেয়া যাবে বলেন। সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিচার আইন করতো। কেন তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিলো। আমিও এর বিচার চাই। আমিও তাদের নামে থানায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাবাও তার ছেলেকে মারপিটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

প্রিন্ট