কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মুরগির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে কেজিপ্রতি মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা। পবিত্র রমজান মাসের আগে এরূপ মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতারা হতাশ।
পাকিস্তানি মুরগি খ্যাত ‘কক’ এখন বাজারে নেই বললেই চলে। কক মুরগি স্থানীয়ভাবে ‘সোনালী মুরগি’ নামে পরিচিত। মাসখানেক আগে এই সোনালী মুরগির দাম ছিল ১৮০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ টাকা। তাও বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে দেশি মুরগির দাম ছিল ৩০০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
আজ শুক্রবার ভেড়ামারা কলেজ বাজারে অবস্থিত মুরগির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মুরগির দোকানেই মুরগির সংকট। কক মুরগি একটি দোকান ছাড়া কোন দোকানেই নেই। এ সময় দোকানদার সাজেদুল ইসলাম তার দোকানে ৭/৮টি কক মুরগি আছে বলে জানান। দাম কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। তিনি আরো জানান, দাম চড়া হওয়ার কারণে ক্রেতা নেই।
আগামী মাস থেকে পবিত্র রমজান শুরু। তার আগেই মুরগির দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় ক্রেতারা চরমভাবে হতাশ। এ ব্যাপারে করেজ বাজারের আরাক ব্যবসায়ীক জানান, ‘বাজারে কক মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই জাতের মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
শামসুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমার বাচ্চারা কক এবং দেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে। তাই প্রায়শঃই কিনতে হয়। কিন্তু বাজারে কক মুরগি নেই। বিক্রেতারা ভিন্ন এক প্রজাতির মুরগিকে কক বলে চালাচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি করছে ৪৫০ টাকায়, যা অনেকেরই ক্রয়সীমার বাইরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, ২০ বছরের ব্যবসায়ীক জীবনে কখনো যে মুরগি বিক্রি করিনি এখন সেই মুরগি কক মুরগি বলে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্রেতাই কক মুরগি বাজারে না থাকায় এবং দেশি মুরগির দাম বেশি হওয়ায় মুরগি কিনছে না। এর ফলে মুরগির ক্রেতা কমে গেছে।
উপজেলার শাহিন হ্যাসারী মুরগির খামারি বলেন, অনেক রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে অনেক মুরগি মারা যায়। বাকি মুরগিগুলো অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিয়েছি। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগি আগে কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।