ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারাতে মুরগির সংকট, দাম চড়া

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মুরগির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে কেজিপ্রতি মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা। পবিত্র রমজান মাসের আগে এরূপ মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতারা হতাশ।

পাকিস্তানি মুরগি খ্যাত ‘কক’ এখন বাজারে নেই বললেই চলে। কক মুরগি স্থানীয়ভাবে ‘সোনালী মুরগি’ নামে পরিচিত। মাসখানেক আগে এই সোনালী মুরগির দাম ছিল ১৮০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ টাকা। তাও বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে দেশি মুরগির দাম ছিল ৩০০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।

আজ শুক্রবার ভেড়ামারা কলেজ বাজারে অবস্থিত মুরগির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মুরগির দোকানেই মুরগির সংকট। কক মুরগি একটি দোকান ছাড়া কোন দোকানেই নেই। এ সময় দোকানদার সাজেদুল ইসলাম তার দোকানে ৭/৮টি কক মুরগি আছে বলে জানান। দাম কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। তিনি আরো জানান, দাম চড়া হওয়ার কারণে ক্রেতা নেই।

আগামী মাস থেকে পবিত্র রমজান শুরু। তার আগেই মুরগির দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় ক্রেতারা চরমভাবে হতাশ। এ ব্যাপারে করেজ বাজারের আরাক ব্যবসায়ীক জানান, ‘বাজারে কক মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই জাতের মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
শামসুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমার বাচ্চারা কক এবং দেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে। তাই প্রায়শঃই কিনতে হয়। কিন্তু বাজারে কক মুরগি নেই। বিক্রেতারা ভিন্ন এক প্রজাতির মুরগিকে কক বলে চালাচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি করছে ৪৫০ টাকায়, যা অনেকেরই ক্রয়সীমার বাইরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, ২০ বছরের ব্যবসায়ীক জীবনে কখনো যে মুরগি বিক্রি করিনি এখন সেই মুরগি কক মুরগি বলে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্রেতাই কক মুরগি বাজারে না থাকায় এবং দেশি মুরগির দাম বেশি হওয়ায় মুরগি কিনছে না। এর ফলে মুরগির ক্রেতা কমে গেছে।

উপজেলার শাহিন হ্যাসারী মুরগির খামারি বলেন, অনেক রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে অনেক মুরগি মারা যায়। বাকি মুরগিগুলো অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিয়েছি। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগি আগে কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

error: Content is protected !!

ভেড়ামারাতে মুরগির সংকট, দাম চড়া

আপডেট টাইম : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মুরগির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে কেজিপ্রতি মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা। পবিত্র রমজান মাসের আগে এরূপ মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতারা হতাশ।

পাকিস্তানি মুরগি খ্যাত ‘কক’ এখন বাজারে নেই বললেই চলে। কক মুরগি স্থানীয়ভাবে ‘সোনালী মুরগি’ নামে পরিচিত। মাসখানেক আগে এই সোনালী মুরগির দাম ছিল ১৮০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ টাকা। তাও বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে দেশি মুরগির দাম ছিল ৩০০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।

আজ শুক্রবার ভেড়ামারা কলেজ বাজারে অবস্থিত মুরগির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মুরগির দোকানেই মুরগির সংকট। কক মুরগি একটি দোকান ছাড়া কোন দোকানেই নেই। এ সময় দোকানদার সাজেদুল ইসলাম তার দোকানে ৭/৮টি কক মুরগি আছে বলে জানান। দাম কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। তিনি আরো জানান, দাম চড়া হওয়ার কারণে ক্রেতা নেই।

আগামী মাস থেকে পবিত্র রমজান শুরু। তার আগেই মুরগির দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় ক্রেতারা চরমভাবে হতাশ। এ ব্যাপারে করেজ বাজারের আরাক ব্যবসায়ীক জানান, ‘বাজারে কক মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই জাতের মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
শামসুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমার বাচ্চারা কক এবং দেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে। তাই প্রায়শঃই কিনতে হয়। কিন্তু বাজারে কক মুরগি নেই। বিক্রেতারা ভিন্ন এক প্রজাতির মুরগিকে কক বলে চালাচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি করছে ৪৫০ টাকায়, যা অনেকেরই ক্রয়সীমার বাইরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, ২০ বছরের ব্যবসায়ীক জীবনে কখনো যে মুরগি বিক্রি করিনি এখন সেই মুরগি কক মুরগি বলে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্রেতাই কক মুরগি বাজারে না থাকায় এবং দেশি মুরগির দাম বেশি হওয়ায় মুরগি কিনছে না। এর ফলে মুরগির ক্রেতা কমে গেছে।

উপজেলার শাহিন হ্যাসারী মুরগির খামারি বলেন, অনেক রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে অনেক মুরগি মারা যায়। বাকি মুরগিগুলো অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিয়েছি। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগি আগে কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


প্রিন্ট