পৃথিবীর ২১টি দেশ তাদের নিজেদের সংস্কৃতি এবং রকমারী খাদ্য উপস্হাপন ও বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত অর্থ ডেনিশ রিফূজি কাউন্সিল ফান্ডে জমা করার উদ্যাগে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতদের সহধর্মিণীদের সহযোগীতায় কোপেনহেগেনের গেইনটপটি সিটি হলে ডিপ্লোমেটিক বাজারের আয়োজন করা হয়।গতকাল শনিবার আয়োজিত বাজারে বাংলাদেশ দুতাবাস ডেনমার্ক জন্য একটি স্টল বরাদ্দ ছিল।
২১ টি দেশের ডিপ্লোমেট বাজারে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা তাদের নিজস্ব দেশীয় পোশাক ও রকমারী সাজে তাদের নিজ নিজ দেশের উৎপাদিত পন্য সবার সামনে উপস্হাপন করেন।
বাংলাদেশের বরাদ্দকৃত স্টলটি ছিল চোখে পড়ার মতো যেখানে বাংলাদেশের তৈরী কাপড়,হস্তশিল্প,রকমারী খাবার স্হান পায়।
বাংলাদেশ ভিত্তিক উন্নায়ন ও সাহায্য সংস্হা প্রত্যাশী, বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কের সাথে বাংলাদেশের কারুশিল্প বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে এবং ডেনিশ রিফূজি কাউন্সিলকে আর্থিক সহযোগীতায় বাংলাদেশের তৃণমূল পর্ষায়ের নারীদের তৈরী পন্য দিয়ে সহযোগী হিসাবে ভুমিকা রাখে।
একটি গোলার্ধে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা,বর্ণ,ধর্ম ও খাবার এবং পোষাকের ভিন্নতা থাকলেও প্রতিটি দেশের মহৎ অংশগ্রহন ও নিজ নিজ দেশের ভাল জিনিসগুলি অন্য দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা ছিল সত্যই প্রসংশনীয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিম।সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন রাষ্টদূত পত্নী সহিলা করিম,বাংলাদেশ থেকে এসে উপস্হিত ছিলেন প্রত্যাশী কর্মকতা ওমর সেরনিয়াবাত। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক মাহবুবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও ডেনমার্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।বাজারে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন জার্মানী, সার্বিয়া,ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, ইসরাইল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিন আফ্রিকা, পাকিস্তান, ব্রাজিল, পোল্যান্ড, আরমেনিয়া, রুমানীয়া, সৌদি আরব, জর্জিয়া, মিশর ও বুলগেরিয়া।
পুরো অনুষ্ঠানটি ভিন্ন দেশিদের একটি মিলন মেলায় পরিনত হয়।
প্রিন্ট