ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। -ফাইল ছবি।

ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশ ভ্রমণের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে সরকারি টাকায় আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। এ শ্রেণির সুবিধা পেয়ে থাকেন যুগ্মসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পদধারীরা। অর্থাৎ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিব পর্যায়ের ব্যক্তিরা এ সুবিধা পান। তাঁরা নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় আসবেন বলে জানা গেছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের সারসংক্ষেপে সই করেছেন। নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণের নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগির এ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে দু’জন সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের।

তাঁদের একজন জানান, সরকার যখন নির্দিষ্ট কোনো পদের কথা উল্লেখ করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো বা কমানোর আদেশ দেয় তখন সেটা পৃথকভাবে বলা থাকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে প্রথম শ্রেণির সুবিধাভোগী সবার জন্যই এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানে দুই ধরনের টিকিট আছে, ইকোনমি ক্লাস এবং বিজনেস ক্লাস। কিন্তু কিছু নামিদামি বিদেশি এয়ারলাইন্সে তিন ধরনের টিকিট থাকে– ইকোনমি, বিজনেস এবং প্রথম শ্রেণি। মন্ত্রী, সচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা বিজনেস ক্লাস বা প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণের সুযোগ পান।

সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তাঁদেরও ইকোনমি ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যয় সংকোচনে সরকার সম্প্রতি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। গত বছরের নভেম্বরে অর্থ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত

আপডেট টাইম : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশ ভ্রমণের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে সরকারি টাকায় আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। এ শ্রেণির সুবিধা পেয়ে থাকেন যুগ্মসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পদধারীরা। অর্থাৎ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিব পর্যায়ের ব্যক্তিরা এ সুবিধা পান। তাঁরা নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় আসবেন বলে জানা গেছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের সারসংক্ষেপে সই করেছেন। নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণের নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগির এ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে দু’জন সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের।

তাঁদের একজন জানান, সরকার যখন নির্দিষ্ট কোনো পদের কথা উল্লেখ করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো বা কমানোর আদেশ দেয় তখন সেটা পৃথকভাবে বলা থাকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে প্রথম শ্রেণির সুবিধাভোগী সবার জন্যই এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানে দুই ধরনের টিকিট আছে, ইকোনমি ক্লাস এবং বিজনেস ক্লাস। কিন্তু কিছু নামিদামি বিদেশি এয়ারলাইন্সে তিন ধরনের টিকিট থাকে– ইকোনমি, বিজনেস এবং প্রথম শ্রেণি। মন্ত্রী, সচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা বিজনেস ক্লাস বা প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণের সুযোগ পান।

সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তাঁদেরও ইকোনমি ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যয় সংকোচনে সরকার সম্প্রতি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। গত বছরের নভেম্বরে অর্থ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।