ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ Logo বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা Logo বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন সহ ০১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo চরভদ্রাসন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা Logo সালথায় বালু উত্তোলন ও বনাঞ্চল উজাড় করে মাটি বিক্রির দায়ে জরিমানা Logo তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ Logo জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন Logo নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত Logo মুকসুদপুরে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু Logo সুবর্ণচরে সংখ্যালঘুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

খুলবে যোগাযোগের নতুন দুয়ার

উদ্বোধনের অপেক্ষায় শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

-শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

শেরপুর-ময়মনসিংহ ৬৯ কিলোমিটার মহাসড়কটি দীর্ঘদিন সরু ও ভাঙাচোরা ছিল। রেল, নদীপথ না থাকায় এ এলাকার মানুষের জন্য সড়কটি ময়মনসিংহ ও ঢাকা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। রাস্তাটি সরু ও ভাঙাচোরা হওয়ায় যানজট ও ধীরগতিতে যাতায়াত করতে হয়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। বর্তমানে মহাসড়কটির প্রস্থ ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৮ ফুট করার কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে যোগাযোগের নতুন দুয়ার খুলবে।

শেরপুর ও ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই বছর ধরে চলছে এই সড়কের কাজ। আগামী জুনের শেষ দিকে সড়কটি উদ্বোধন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে রাতদিন কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

এ মহাসড়কের প্রস্থ দ্বিগুণ করার কাজ সম্পন্ন হলে এক ঘণ্টায় শেরপুর থেকে ময়মনসিংহে যাওয়া যাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৬৯ কিলোমিটার সড়ক করতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেরপুর থানা মোড় থেকে নকলা উপজেলার (শেরপুর অংশ) সীমান্ত বাঁশহাটি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারে ৩০০ কোটি এবং ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ বাঁশহাটি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী ব্রিজ পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটারে খরচ হবে ৫০০ কোটি।

শেরপুর ও ময়মনসিংহ এই দুই অংশের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে সওজ বিভাগ কঠোর ছিল। কাজ চলাকালে গভীর রাতেও ঠিকাদারের সঙ্গে সড়ক বিভাগের শীর্ষ কর্তারা দেখভাল করেছেন। গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণকালে অনেক বিড়ম্বনা সইতে হয়েছে। এখন মজা পাচ্ছি। কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা। কাজ শেষ হলে শেরপুর- ময়মনসিংহে আসা-যাওয়া খুব সহজ হবে। একদিকে সময় কম লাগবে আবার গাড়ির ভাড়াও কমবে। নির্মাণাধীন সড়কটি যোগাযোগে গতি আনবে।

সাধারণ মানুষ জেলায় যোগাযোগের এই উন্নয়নে সরকারের প্রশংসা করছেন। তবে রাস্তায় ডিভাইডার না থাকাকে একটি অসম্পূর্ণতা বলে মনে করছেন যাতায়াতকারীরা। এই উন্নয়নে অসংখ্য গাছ কাটা পড়েছে। পরিবেশবিদদের দাবি, রাস্তার দুই পাশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষ রোপণ করা হোক এখনই।

শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কের (একাংশ) ঠিকাদার মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লির স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পথে। নির্ধারিত সময়ের আগেই হস্তান্তর করা হবে।

শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, রাস্তাটি নিঃসন্দেহে এ এলাকার মানুষের জন্য মাইলফলক। সরকার চাইলে আসছে জুনেই সড়কটি উদ্বোধন করতে পারে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

error: Content is protected !!

খুলবে যোগাযোগের নতুন দুয়ার

আপডেট টাইম : ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

শেরপুর-ময়মনসিংহ ৬৯ কিলোমিটার মহাসড়কটি দীর্ঘদিন সরু ও ভাঙাচোরা ছিল। রেল, নদীপথ না থাকায় এ এলাকার মানুষের জন্য সড়কটি ময়মনসিংহ ও ঢাকা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। রাস্তাটি সরু ও ভাঙাচোরা হওয়ায় যানজট ও ধীরগতিতে যাতায়াত করতে হয়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। বর্তমানে মহাসড়কটির প্রস্থ ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৮ ফুট করার কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে যোগাযোগের নতুন দুয়ার খুলবে।

শেরপুর ও ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই বছর ধরে চলছে এই সড়কের কাজ। আগামী জুনের শেষ দিকে সড়কটি উদ্বোধন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে রাতদিন কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

এ মহাসড়কের প্রস্থ দ্বিগুণ করার কাজ সম্পন্ন হলে এক ঘণ্টায় শেরপুর থেকে ময়মনসিংহে যাওয়া যাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৬৯ কিলোমিটার সড়ক করতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেরপুর থানা মোড় থেকে নকলা উপজেলার (শেরপুর অংশ) সীমান্ত বাঁশহাটি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারে ৩০০ কোটি এবং ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ বাঁশহাটি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী ব্রিজ পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটারে খরচ হবে ৫০০ কোটি।

শেরপুর ও ময়মনসিংহ এই দুই অংশের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে সওজ বিভাগ কঠোর ছিল। কাজ চলাকালে গভীর রাতেও ঠিকাদারের সঙ্গে সড়ক বিভাগের শীর্ষ কর্তারা দেখভাল করেছেন। গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণকালে অনেক বিড়ম্বনা সইতে হয়েছে। এখন মজা পাচ্ছি। কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা। কাজ শেষ হলে শেরপুর- ময়মনসিংহে আসা-যাওয়া খুব সহজ হবে। একদিকে সময় কম লাগবে আবার গাড়ির ভাড়াও কমবে। নির্মাণাধীন সড়কটি যোগাযোগে গতি আনবে।

সাধারণ মানুষ জেলায় যোগাযোগের এই উন্নয়নে সরকারের প্রশংসা করছেন। তবে রাস্তায় ডিভাইডার না থাকাকে একটি অসম্পূর্ণতা বলে মনে করছেন যাতায়াতকারীরা। এই উন্নয়নে অসংখ্য গাছ কাটা পড়েছে। পরিবেশবিদদের দাবি, রাস্তার দুই পাশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষ রোপণ করা হোক এখনই।

শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কের (একাংশ) ঠিকাদার মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লির স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পথে। নির্ধারিত সময়ের আগেই হস্তান্তর করা হবে।

শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, রাস্তাটি নিঃসন্দেহে এ এলাকার মানুষের জন্য মাইলফলক। সরকার চাইলে আসছে জুনেই সড়কটি উদ্বোধন করতে পারে।