ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল Logo রংপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাঃ খাদে পড়ে গেল আলিফ পরিবহন, আহত অন্তত ২০ Logo হাতিয়া চরকিং ইউনিয়নে আব্দুল হাই ভূঁইয়া ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্দ্যেগে বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি ইংরেজি শেখার কার্যক্রম চালু হয়েছে Logo শার্শায় কৃষকের বাড়ি ভাংচুর ও বোমা হামলা ঘটনার মুল হোতা তোতা আটক Logo হাতিয়ায় মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা Logo আলিপুর টি ১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  Logo শালিখায় স্ত্রীহত্যা মামলার আসামি মিজানুর গ্রেফতার Logo বাঘায় আগুন নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা Logo ভূরুঙ্গামারীতে “Movement for Punctuality” আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo গণসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এনসিপিঃ সামনে জুলাই পদযাত্রা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাতিরঝিলের বিদ্যুৎলাইন যাচ্ছে মাটির নিচে

হাতিরঝিলকে বলা হয় ঢাকা শহরের ‘ফুসফুস’। সেখানকার নান্দনিকতার ঘাটতি পূরণে মাটির নিচ দিয়ে টানা হচ্ছে ওভারহেড বিদ্যুতের লাইন। রোজার ঈদের আগে শুরু হওয়া এ কাজ ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে।

প্রথমে মধুবাগ থেকে মগবাজার, এরপর রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট থেকে উলনের দিকের ওভারহেড বিদ্যুৎলাইন মাটির নিচে নিতে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের জি টু জি প্রজেক্টের আওতায় দেশটির এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)।

শনিবার (২৭ মে) ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের সঙ্গে গ্রাহকসেবা নির্বিঘ্ন করতে চাই। এজন্য ক্রমান্বয়ে ওভারহেড লাইনগুলোকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুরুতে ধানমন্ডির একটি এলাকার পাশাপাশি হাতিরঝিলের কাজ চলছে। ক্রমান্বয়ে অন্য এলাকার লাইনগুলোও মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চীন ঋণের অর্থ ছাড় করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পটি পিছিয়ে গেছে। ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি’ প্রকল্পটির আওতায় ডিপিডিসি’র দুটি ভবন, সাবস্টেশন, হাতিরঝিল ও ধানমন্ডিতে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্য ঋণ সহায়তা ১৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ৫ হাজার ৫৩৬ কোটি এবং ডিপিডিসির নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ডিপিডিসির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প।

শুক্রবার (২৬ মে) হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। মধুবাগ থেকে মগবাজার অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু এলাকায় ক্যাবল জোড়া দেওয়ার কাজ চলছে। অপরদিকে হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট থেকে রামপুরা উলনমুখী রাস্তাটি খুঁড়ে মাটির নিচে ক্যাবল ঢোকানো হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

error: Content is protected !!

হাতিরঝিলের বিদ্যুৎলাইন যাচ্ছে মাটির নিচে

আপডেট টাইম : ১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

হাতিরঝিলকে বলা হয় ঢাকা শহরের ‘ফুসফুস’। সেখানকার নান্দনিকতার ঘাটতি পূরণে মাটির নিচ দিয়ে টানা হচ্ছে ওভারহেড বিদ্যুতের লাইন। রোজার ঈদের আগে শুরু হওয়া এ কাজ ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে।

প্রথমে মধুবাগ থেকে মগবাজার, এরপর রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট থেকে উলনের দিকের ওভারহেড বিদ্যুৎলাইন মাটির নিচে নিতে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের জি টু জি প্রজেক্টের আওতায় দেশটির এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)।

শনিবার (২৭ মে) ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের সঙ্গে গ্রাহকসেবা নির্বিঘ্ন করতে চাই। এজন্য ক্রমান্বয়ে ওভারহেড লাইনগুলোকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুরুতে ধানমন্ডির একটি এলাকার পাশাপাশি হাতিরঝিলের কাজ চলছে। ক্রমান্বয়ে অন্য এলাকার লাইনগুলোও মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চীন ঋণের অর্থ ছাড় করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পটি পিছিয়ে গেছে। ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি’ প্রকল্পটির আওতায় ডিপিডিসি’র দুটি ভবন, সাবস্টেশন, হাতিরঝিল ও ধানমন্ডিতে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্য ঋণ সহায়তা ১৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ৫ হাজার ৫৩৬ কোটি এবং ডিপিডিসির নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ডিপিডিসির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প।

শুক্রবার (২৬ মে) হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। মধুবাগ থেকে মগবাজার অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু এলাকায় ক্যাবল জোড়া দেওয়ার কাজ চলছে। অপরদিকে হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট থেকে রামপুরা উলনমুখী রাস্তাটি খুঁড়ে মাটির নিচে ক্যাবল ঢোকানো হয়েছে।


প্রিন্ট