ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মাথায় কাঠের আগাত পাওয়া যুবক স্বপন শেখ (২৮) ১৩ দিন আইসিইউতে থাকার পর মারা গেছে। সুজন নামের এক ব্যাবসায়ীর কাঠের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে দশ টুকরা হয় বলে জানা যায়।
স্বপনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার ভাই সেলিম জানায় তেরোদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিত্সাধীন থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার(২৫মে)সকাল দশ টার দিকে তাকে মৃত ঘোষনা করেন ঐ হাসপাতালের চিকিত্সক। স্বপন চরভদ্রাসন সদর বাজারে কাঠের ফার্নিচার পালিশের কাজ করত। স্বপন সদর ইউনিয়নের আব্দুল সিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা শেখ জালালের তৃতীয় পুত্র। ইয়াছিন নামে এক বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধা সারে ৭টার দিকে উপজেলার আদর্শ স্কুল রোডে সুজনের ফার্নিচারের দোকানে পাওনা টাকা চাইতে গেলে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে দোকান মালিক সুজন স্বপনের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে। কাঠের আঘাতে স্বপন মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়রা স্বপনকে প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিত্সক ডা.প্রিন্স মাহমুদ প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ঐ রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মাথার অপারেশন হলে তার মাথার খুলির দশটি ভাঙ্গা টুকরা বের করেন চিকিৎসক।
সুজন ফরিদপুর সদর উপজেলার মুন্সিবাজারের পেয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা বলেন এ ঘটনায় গত ১২ মে ছেলেটির মামা হযরত মুন্সি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১। আসামি পলাতক আছে, আমরা তাকে আটকের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।