রাজবাড়ী জেলার পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের টিন সেডের মধ্যে বুধবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে মিনতি রায় (৫০) নামের এক নারী তার দেবর নেপাল রায়ের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠিছে। তাদের বাড়ী পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বি-মালঞ্চি গ্রামে। লাঞ্ছনাকারী নেপাল রায় বি-মালঞ্চি গ্রামের মৃত সুধীর রায়ের ছেলে।
জানা যায়, মৃত সুধীর রায়ের ৩ পুত্র। তারা হলেন- সুনীল রায়, গোপাল রায় ও নেপাল রায়। সুনীল রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। সুনীল রায়ের পুত্র সন্তান নেই। তার দুই কন্যা সন্তান- তন্দ্রা রায় ও সুস্মিতা রায়।
বেশ কিছুদিন ধরে বি-মালঞ্চি মৌজার পৈত্রিক সম্পত্তির সুনীল রায়ের মালিকানা ৮৪ শতাংশ জমি যেনতেনভাবে হাতিয়ে নেওয়ার গভীর চক্রান্ত করছে নেপাল রায়।
নেপাল রায় তার বড়ভাই সুনীল রায়কে ফুসলিয়ে নিজ পুত্র অপূর্ব রায়ের নামে উল্লেখিত ৮৪ শতাং জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য বুধবার পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখকের দপ্তরে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে গোপাল রায়ের স্ত্রী মিনতি রায় দলিল লেখকের দপ্তরে পৌঁছে অংশীদারদের ফাঁকি দিয়ে গোপনে নেপাল রায়ের দলিল লেখার কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলায় উত্তেজিত হয়ে লোকজনের সামনে মিনতি রায়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে নেপাল রায়।
এ ঘটনায় মিনতি রায় ও তার স্বামী গোপাল রায় আইনি প্রতিকার চান। বুধবার বিকালে মিনতি রায় বাদী হয়ে নেপাল রায়ের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোপাল রায় পাংশা পৌর শহরের স্টেশন বাজারস্থ কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের পুরহিত। তিনি বলেন, বড়ভাই সুনীল রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। এ সুযোগে ছোট ভাই নেপাল রায় কূটকৌশল অবলম্বন করে তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে।
এদিকে সুনীল রায়ের কন্যা তন্দ্রা রায় বলেন, তার পিতাকে ফুসলিয়ে ছোট চাচা নেপাল রায় জায়গা-জমি লিখে নেওয়ার চক্রান্ত করছে। প্রতিবাদ করলে নেপাল রায় তাদের উপরও হুমকি প্রদর্শন করে। নেপাল রায় একাধিকবার তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করে বলে জানায় তন্দ্রা রায়।
প্রিন্ট