ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। নতুন ওঠা এসব পেঁয়াজ ১২ থেকে ১৪শ টাকা মণ দরে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে কৃষকরা। বাজারজাত করনের জন্য এই পেঁয়াজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর
১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। এছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়েছে।

উন্নত জাতের (লালতীর কিং) কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া কৃষকরা এটির বাজারমূল্য ভালো পায় ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বেশি। এ কারণে এ জাতের পেঁয়াজ ৮০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা। এর উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামুলক অনেক বেশি। কৃষি বিভাগের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে বলে জানা গেছে ।


উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের মিরাকান্দা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, আমি সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। উৎপাদন ভাল হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, দাম কিছুটা বাড়লে কৃষকরা লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এবার মোট ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে
ইতিমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন হয়ে গেছে গড় হিসাবে পার হেক্টর প্রতি ১৬ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া হালি পেঁয়াজের উত্তোলন শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের ফলন ভালো আশানুরূপ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কৃষক যদি ন্যায্য মূল্য পায় সে ক্ষেত্রে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সমর্থ হবে।

এদিকে উপজেলার বেশকিছু কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার এবং ব্যবসায়ীরা অন্যান্য শস্য উৎপাদনের দিকে যতোটা মনযোগী, তেমনটা পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেখা যায়না। “পেঁয়াজে মনে করেন লাভ কম। পেয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলে জমিতে পানি ওঠে পচে যায়। লস হয় অনেক, আর পেঁয়াজ উৎপাদন অপেক্ষাকৃত লাভজনক নয়। পেঁয়াজের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে সরকার যদি একটু উদ্যোগী হয়ে কৃষকের প্রতি খেয়াল রাখে, তাহলেই পেঁয়াজে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

সালথায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। নতুন ওঠা এসব পেঁয়াজ ১২ থেকে ১৪শ টাকা মণ দরে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে কৃষকরা। বাজারজাত করনের জন্য এই পেঁয়াজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর
১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। এছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়েছে।

উন্নত জাতের (লালতীর কিং) কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া কৃষকরা এটির বাজারমূল্য ভালো পায় ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বেশি। এ কারণে এ জাতের পেঁয়াজ ৮০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা। এর উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামুলক অনেক বেশি। কৃষি বিভাগের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে বলে জানা গেছে ।


উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের মিরাকান্দা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, আমি সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। উৎপাদন ভাল হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, দাম কিছুটা বাড়লে কৃষকরা লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এবার মোট ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে
ইতিমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন হয়ে গেছে গড় হিসাবে পার হেক্টর প্রতি ১৬ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া হালি পেঁয়াজের উত্তোলন শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের ফলন ভালো আশানুরূপ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কৃষক যদি ন্যায্য মূল্য পায় সে ক্ষেত্রে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সমর্থ হবে।

এদিকে উপজেলার বেশকিছু কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার এবং ব্যবসায়ীরা অন্যান্য শস্য উৎপাদনের দিকে যতোটা মনযোগী, তেমনটা পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেখা যায়না। “পেঁয়াজে মনে করেন লাভ কম। পেয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলে জমিতে পানি ওঠে পচে যায়। লস হয় অনেক, আর পেঁয়াজ উৎপাদন অপেক্ষাকৃত লাভজনক নয়। পেঁয়াজের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে সরকার যদি একটু উদ্যোগী হয়ে কৃষকের প্রতি খেয়াল রাখে, তাহলেই পেঁয়াজে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।