তিনি বলেন, বুধবার (০৩ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর জেলার কোদালপুর সংলগ্ন ঠাণ্ডাবাজার এলাকায় গোসাইরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ঈগল-৩ থেকে চলন্ত অবস্থায় জোহরা বেগম (৩৮) নামের এক মহিলা নদীতে পড়ে যান। পরে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট হাইমচর কর্তৃক উদ্ধার অভিযান (সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশন্স) পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গোসাইরহাট থানার ওসি আসলাম শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া নারী একটি চরে আটকে ছিলেন। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
|
জিজ্ঞাসাবাদে জোহরা বেগম জানিয়েছেন, জোহরা পানের সঙ্গে সুপারি-জর্দা বেশি খাওয়ার কারণে মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী জহিরুল ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে তারা জানতে পেরে সবাইকে জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়। জোহরা স্বামী জহিরুলের সঙ্গে গোসাইরহাটের কুচাইপট্টিতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।
প্রিন্ট