রবিউল ইসলাম রুবেলঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামজ আদায় করেছেন। রোববার (৩০ মার্চ) এসব গ্রামের মানুষ সকালে ঈদের জামাত আদায় করেন। একদিন আগে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন, তারা সবাই চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ মির্জাখিল দরবার শরিফের আনুসারী।
.
জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। এজন্য একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
.
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ পালন করে থাকে। এদের মধ্যে সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ও রাখালতলী গ্রামের মোট তিনটি স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা মুসল্লিয়ান কেরামগণ এই গ্রাম গুলোয় এসে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেমন। নামাজ শেষে প্রতিবছরের নেয় এবারও মুসল্লিয়ানদের মাঝে মাংস খিচুড়ি খাবার বিতরণ করা হয়।
.
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করে। এখানে ঈদের নামাজ পড়তে মুহম্মদপুর, মুকসুদপুর, আলফাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন উপস্থিত হোন।
.
এদের মধ্যে সহস্রাইল গ্রামের ঈদুল ফিতরের সব চেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা রাকিবুল হাসান রাকিব।
.
দরিসহস্রাইল গ্রামের নামজ আদায়কারী মুসল্লিয়ান কেরামগণ জানান, আমাদের বাবা দাদাদের আমল থেকে আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করি। এজন্য তাদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি। দুইশত বছর ধরে সহস্রাইল উত্তরপাড়া জামে মসজিদে, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে জামাতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ১০ টার মধ্যে জামাত পর্যায়ক্রমে শেষ হয়। তারা আরও বলেন, এটা শুরু হয়েছে কোলকাতার আলীগড় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল আরেফীনের হাত ধরে।
.
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধরী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। তবে, কয়টা গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা।
.
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সৌদির সাথে মিল রেখে উপজেলার তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
প্রিন্ট