ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জে ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ ব্যবসায়ী নিহত

-ছবি প্রতীকী।

গোপালগঞ্জে বাস ও নসিমন সংঘর্ষে তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ী এবং অপর এক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাসুর এলাকার এক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। অপর দুর্ঘটনায় এক স্বর্ণব্যবসায়ী নিহত হয় গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ি এলাকায়।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার তালাবাজার থেকে কাঁচামাল বিক্রি শেষ করে চার ব্যবসায়ী নসিমনযোগে সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় নসিমনটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সোনাসুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নসিমনটি ছিটকে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে এক ব্যবসায়ী ও নসিমনচালক দিনেশ অধিকারী (৫৩) নিহত হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে অপর ব্যবসায়ী সঞ্জয় বৈরাগী (৩৫) ও মিহির বৈরাগী (৩৯)কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক স্বর্ণব্যবসায়ী শংকর বালা (৪৪) ও তার ছেলে রুদ্র বালা (১০) মারাত্মক আহত হয়।

তাদেরকে স্থানীয় লোকজন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকেরা দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রোগীর স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রওনা হলে পথিমধ্যে মুকসুদপুরে এলাকায় পৌঁছালে শংকর বালা মারা যান। তার ছেলে রুদ্র বালাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এঘটনায় উলপুর ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্ৰামে নিহত তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত তিন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জে ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ ব্যবসায়ী নিহত

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন, গোপালগঞ্জ অফিস :

গোপালগঞ্জে বাস ও নসিমন সংঘর্ষে তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ী এবং অপর এক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাসুর এলাকার এক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। অপর দুর্ঘটনায় এক স্বর্ণব্যবসায়ী নিহত হয় গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ি এলাকায়।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার তালাবাজার থেকে কাঁচামাল বিক্রি শেষ করে চার ব্যবসায়ী নসিমনযোগে সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় নসিমনটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সোনাসুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নসিমনটি ছিটকে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে এক ব্যবসায়ী ও নসিমনচালক দিনেশ অধিকারী (৫৩) নিহত হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে অপর ব্যবসায়ী সঞ্জয় বৈরাগী (৩৫) ও মিহির বৈরাগী (৩৯)কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক স্বর্ণব্যবসায়ী শংকর বালা (৪৪) ও তার ছেলে রুদ্র বালা (১০) মারাত্মক আহত হয়।

তাদেরকে স্থানীয় লোকজন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকেরা দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রোগীর স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রওনা হলে পথিমধ্যে মুকসুদপুরে এলাকায় পৌঁছালে শংকর বালা মারা যান। তার ছেলে রুদ্র বালাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এঘটনায় উলপুর ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্ৰামে নিহত তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত তিন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ।


প্রিন্ট