স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যায়ে একটি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। এই নিয়ে প্রশাসনে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি।
ফরিদপুরের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিশু পরিবার (মহিলা) এর পুকুর উন্নয়ন ও ওয়াকওয়ে স্লোপ প্রটেকশন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে এ কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারন সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ। ফলকে কোন সরকারি কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করা হয়নি ।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এ.এস.এম আলী আহসান এ প্রসঙ্গে জানান, এ বিষয়ে একটি টেননিক্যাল ভূল হয়েছে।
কি ভূল; জানতে চাইলে তিনি বিব্রত হয়ে বলেন, বিষয়টি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ভাল জানেন।
ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো.শাহজাহান এ প্রসঙ্গেবলেন, সাধারনত সরকারি যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর বা উদ্ভোধনী ফলোকে এম.পি অথবা জনপ্রতিনিধি অথবা সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করার রেওয়াজ রয়েছে। আমরা এর ব্যত্যয় কখনো হতে দেখিনি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো.কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাজ সেবায় কোন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন কার হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। এলজিইডি বা সমাজসেবা কোন দপ্তর আমাকে অবগত করেনি বিষয়টি ।
ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃসাহিদুজ্জামান খান, ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এ.এস.এম আলী আহসান, সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুলহুদা, ফরিদপুর শিশুপরিবার (মহিলা) তত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) তাছফিয়া তাসরিন।
বিষয়টি বিধিসম্মত হয়নি স্বীকার করে ফরিদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাহিদুজ্জামান খান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রকল্পের অর্থ ছাড় হয়েছে, এ জন্য তার নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের নামে এমপি’র নাম ব্যবহার হয়ে থাকে। ফরিদপুর সদরের এমপি (অসুস্থ) অনুপস্থিত থাকায় এমনটি হয়েছে।
প্রিন্ট