বঙ্গভবনে রাজসিক সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় পৌঁছেছেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নিকুঞ্জের বাসায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের আবদুল হামিদ বলেন, আমি আজকের দিনে পুরো দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশবাসীর দোয়া ছিল, আমার এলাকার মানুষের দোয়া ছিল বলেই আমি দীর্ঘমেয়াদে জনগণকে সেবা দিতে পেরেছি। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আমাকে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, সে জন্য আমি তার প্রতিও কৃতজ্ঞ। এ দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দুই মেয়াদে নির্বাচিত করেছে। আবার রাজনীতি করলে এ দেশের মানুষকে হেয় করা হবে। সেটা আমি করব না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল হামিদ বলেন, অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি, আমার বেশিরভাগ সময় থাকার ইচ্ছা হাওরে, ঢাকায়ও থাকতে হবে আবার কিশোরগঞ্জেও থাকতে হবে। তবে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার ইচ্ছা হাওরে।
|
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে বিদায়ী সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর প্রথমেই প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) আবদুল হামিদকে গার্ড অব অনার দেয়। ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী গার্ড অব অনার প্রদানের পর তাকে ফুলসজ্জিত একটি খোলা জিপে বঙ্গভবনের ফোয়ারা এলাকা থেকে প্রধান গেটের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে বহনকারী জিপটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে সেটিকে টেনে নিয়ে যান। এ সময় রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটানো হয়। পরে প্রধান গেট থেকে ভিভিআইপি প্রটোকলে বিদায়ী যাত্রা করেন আবদুল হামিদ।
প্রিন্ট