ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দুপাড়ে যুগল সৌন্দর্য লালন সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ এসে ভীড় জমাচ্ছে। ঈদের টানা ছুটিতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এলাকায়। যেন মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পদ্মা পাড়।
তাই রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু একশ’১৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু করে প্রতিদিনই পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালনশাহ সেতু এলাকা মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ-ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা।পদ্মার অপরূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র:) মাজার দেখার জন্য সেখানে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীড় করে দেখছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রেল স্টেশনের পাশে পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। শত বছর পরও এ ব্রিজের সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি। তাইতো প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী এ ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুল্লি ও উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজের অবলোকন করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শনার্থী ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। ঈদের সরকারি ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।
পিয়াস নামের আরেক দর্শনার্থী কবির বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে এসে একই সঙ্গে পাকশীর নানন্দিক রেল স্টেশন, ব্রিটিশ স্থাপনা পাকশী রেলের বিভাগীয় কার্যালয়, শতবর্ষী অসংখ্য গাছ হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়েছে।
মজার কান্ড,অজপাড়া গাঁ থেকে একবার একদল লোক এসেছিলো পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দেখতে। এত্তবড় ব্রীজ তারা জীবনেও কোন দিন দেখেনি। ভাবতেই পারে না কতো বড় কান্ড ঘটে গেছে পদ্মার ওপর দিয়ে। একজন লোক অবাক চোখে হার্ডিঞ্জ ব্রীজটির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো দ্যাখতো কত বড় ব্রীজ মনে কর ৫শ’ টাকার নুয়াই (লোহা) নাগছে। ৫শ’ টাকার বেশি কল্পনা করারও ক্ষমতা ছিল না লোকগুলোর। তাদের কথা লোহার সঠিক হিসেব না পাওয়া গেলেও ব্রীজটি যে আসলেও মস্ত বড়, সেটা বোঝা যায়।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা নজরুল ইসলাম জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখলাম। সব মিলিয়ে জায়গাটি দর্শনীয় স্থান। এই জায়গাটি পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা হলে দর্শনার্থীদের সমাগম আরও বাড়বে।
প্রিন্ট