ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কবিরাজের লাশ উদ্ধার Logo পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার Logo শালিখার আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ Logo ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী সোহেল গ্রেপ্তার Logo পাংশায় শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি Logo কুষ্টিয়ায় উলামা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo নির্বাচন ছাড়া কোন সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারেরা জন্ম নেয়ঃ -আব্দুস সালাম Logo ভেড়ামারায় মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান, ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল!

-স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল।

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর পাওয়া গেলো স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে মাটি খোঁড়ার সময় কয়েকটি লাশের হাড়গোড় (কঙ্কাল) উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে এসব কঙ্কাল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আক্রোমণে নিহত পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকারদের। ধারণা করা হচ্ছে-একাত্তরের দামামায় মহম্মদপুর সদরে ১৯ নভেম্বরের যুদ্ধে যেসব পাকিস্তানি ও দোসর ও রাজাকার মারা যান উদ্ধারকৃত কঙ্কাল তাদেরই হয়ে থাকবে। কঙ্কার পাওয়ার এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতার ভীড় জমে।

জানাযায়, উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে পুরোনো হলরুমের পূর্বপাশে স্থানীয় কৃষি বিভােেগ স্টোর রুম নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কিছু কঙ্কাল উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বেজ ঢাঁলাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। এ সময় দুইটি লাশের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। পুরো এলাকা খুঁড়লে অগণিত লাশের কঙ্কাল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপণ করেছিলো। ১৯ নভেম্বর বীরযোদ্ধাদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিলো। সে যুদ্ধে মহম্মদপুর উপজেলার নাগড়ীপাড়া গ্রামের টগবগে যুবক মুক্তিকামী আহম্মদ ও তাঁর ভাই মহম্মদ শহীদ হন। এ যুদ্ধে আরও শহীদ হন যশোর সদর উপজেলাধীন সতিঘাটার কামালপুর গ্রামের ইপিআর সদস্য মহম্মদ উল্লাহ্। মহম্মদ উল্লাহ্ পরবর্তীতে ‘বীর বিক্রম’ উপাধি পান। স্বাধীনতার ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক এবং বেদনাবিধূর।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করেছি। তারাও বলেছেন এগুলো স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল!

আপডেট টাইম : ০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
মো. কামরুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরা :

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর পাওয়া গেলো স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে মাটি খোঁড়ার সময় কয়েকটি লাশের হাড়গোড় (কঙ্কাল) উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে এসব কঙ্কাল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আক্রোমণে নিহত পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকারদের। ধারণা করা হচ্ছে-একাত্তরের দামামায় মহম্মদপুর সদরে ১৯ নভেম্বরের যুদ্ধে যেসব পাকিস্তানি ও দোসর ও রাজাকার মারা যান উদ্ধারকৃত কঙ্কাল তাদেরই হয়ে থাকবে। কঙ্কার পাওয়ার এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতার ভীড় জমে।

জানাযায়, উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে পুরোনো হলরুমের পূর্বপাশে স্থানীয় কৃষি বিভােেগ স্টোর রুম নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কিছু কঙ্কাল উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বেজ ঢাঁলাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। এ সময় দুইটি লাশের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। পুরো এলাকা খুঁড়লে অগণিত লাশের কঙ্কাল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপণ করেছিলো। ১৯ নভেম্বর বীরযোদ্ধাদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিলো। সে যুদ্ধে মহম্মদপুর উপজেলার নাগড়ীপাড়া গ্রামের টগবগে যুবক মুক্তিকামী আহম্মদ ও তাঁর ভাই মহম্মদ শহীদ হন। এ যুদ্ধে আরও শহীদ হন যশোর সদর উপজেলাধীন সতিঘাটার কামালপুর গ্রামের ইপিআর সদস্য মহম্মদ উল্লাহ্। মহম্মদ উল্লাহ্ পরবর্তীতে ‘বীর বিক্রম’ উপাধি পান। স্বাধীনতার ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক এবং বেদনাবিধূর।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করেছি। তারাও বলেছেন এগুলো স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল।


প্রিন্ট