ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল!

-স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল।

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর পাওয়া গেলো স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে মাটি খোঁড়ার সময় কয়েকটি লাশের হাড়গোড় (কঙ্কাল) উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে এসব কঙ্কাল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আক্রোমণে নিহত পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকারদের। ধারণা করা হচ্ছে-একাত্তরের দামামায় মহম্মদপুর সদরে ১৯ নভেম্বরের যুদ্ধে যেসব পাকিস্তানি ও দোসর ও রাজাকার মারা যান উদ্ধারকৃত কঙ্কাল তাদেরই হয়ে থাকবে। কঙ্কার পাওয়ার এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতার ভীড় জমে।

জানাযায়, উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে পুরোনো হলরুমের পূর্বপাশে স্থানীয় কৃষি বিভােেগ স্টোর রুম নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কিছু কঙ্কাল উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বেজ ঢাঁলাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। এ সময় দুইটি লাশের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। পুরো এলাকা খুঁড়লে অগণিত লাশের কঙ্কাল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপণ করেছিলো। ১৯ নভেম্বর বীরযোদ্ধাদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিলো। সে যুদ্ধে মহম্মদপুর উপজেলার নাগড়ীপাড়া গ্রামের টগবগে যুবক মুক্তিকামী আহম্মদ ও তাঁর ভাই মহম্মদ শহীদ হন। এ যুদ্ধে আরও শহীদ হন যশোর সদর উপজেলাধীন সতিঘাটার কামালপুর গ্রামের ইপিআর সদস্য মহম্মদ উল্লাহ্। মহম্মদ উল্লাহ্ পরবর্তীতে ‘বীর বিক্রম’ উপাধি পান। স্বাধীনতার ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক এবং বেদনাবিধূর।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করেছি। তারাও বলেছেন এগুলো স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল!

আপডেট টাইম : ০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
মো. কামরুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরা :

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর পাওয়া গেলো স্বাধীনতা বিরোধীদের লাশের কঙ্কাল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে মাটি খোঁড়ার সময় কয়েকটি লাশের হাড়গোড় (কঙ্কাল) উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে এসব কঙ্কাল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আক্রোমণে নিহত পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকারদের। ধারণা করা হচ্ছে-একাত্তরের দামামায় মহম্মদপুর সদরে ১৯ নভেম্বরের যুদ্ধে যেসব পাকিস্তানি ও দোসর ও রাজাকার মারা যান উদ্ধারকৃত কঙ্কাল তাদেরই হয়ে থাকবে। কঙ্কার পাওয়ার এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতার ভীড় জমে।

জানাযায়, উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে পুরোনো হলরুমের পূর্বপাশে স্থানীয় কৃষি বিভােেগ স্টোর রুম নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কিছু কঙ্কাল উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বেজ ঢাঁলাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। এ সময় দুইটি লাশের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। পুরো এলাকা খুঁড়লে অগণিত লাশের কঙ্কাল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপণ করেছিলো। ১৯ নভেম্বর বীরযোদ্ধাদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিলো। সে যুদ্ধে মহম্মদপুর উপজেলার নাগড়ীপাড়া গ্রামের টগবগে যুবক মুক্তিকামী আহম্মদ ও তাঁর ভাই মহম্মদ শহীদ হন। এ যুদ্ধে আরও শহীদ হন যশোর সদর উপজেলাধীন সতিঘাটার কামালপুর গ্রামের ইপিআর সদস্য মহম্মদ উল্লাহ্। মহম্মদ উল্লাহ্ পরবর্তীতে ‘বীর বিক্রম’ উপাধি পান। স্বাধীনতার ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক এবং বেদনাবিধূর।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করেছি। তারাও বলেছেন এগুলো স্বাধীনতা বিরোধীদের কঙ্কাল।


প্রিন্ট