ইপিবি চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকের জন্য ৪ হাজার ২২৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তার চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ আয় কম এসেছে। মাসভিত্তিক হিসাবেও রপ্তানি আয় সামান্য কমেছে। গত অর্থবছরের মার্চে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি মার্কিন ডলার। এবারের মার্চে সেই আয় কিছুটা কমে ৪৬৪ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এটি গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান বলেন, মাসভিত্তিক হিসাবে রপ্তানি সামান্য কমলেও সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থবিরতার পরও এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পণ্য খাতের রপ্তানির শক্তির দিকটিই তুলে ধরেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে আয় বেড়েছে এমন পণ্যগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, ক্যাপ, তামাক, কাগজ ও কাগজ পণ্য, ইলেকট্রিক পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও চামড়াজাত পণ্য।
অপরদিকে আয় কমেছে- শাকসবজি, ওষুধ, ফার্নিচার, চিংড়ি, বাইসাইকেল, শুকনো খাবার, হোম টেক্সটাইল, টেরি টাওয়েল, চা ও কাঁচাপাটের। জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে বেশিরভাগ আয় এসেছে মূলত তৈরি পোশাক খাত থেকে। ওভেন পোশাক থেকে নয় মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলারের। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। আর নিট পোশাক থেকে আয় এসেছে ১ হাজার ৬১১ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।