পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লালমীর হাট। কাটাকালী, মজুন্দার বাজার, বাধানো ঘাট, চাঁদপুর ও কৃষ্ণপুরে চলছে লালমীর বেচাকেনা। বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে লালমী কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর রমজান মাসকে সামনে রেখে সদরপুর উপজেলার কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পরেন লালমী চাষে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় পাঁচশত পচিশ একর জমিতে লালমী আবাদ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর লালমী চাষে খরজ পড়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। যেখানে গত বছর প্রতি বিঘা (৫২ শতক) জমিতে লালমী আবাদে কৃষকের খরজ হয়েছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা।
কারন হিসব কৃষকরা জানান, সময়মত বৃষ্টি না হওয়া, কারেন্ট পোকা, বাইল্যা পোকা ও সাদা মাছির আক্রমনে বেশী ওষুধ প্রয়োগ এবং কৃষক বেশী লাগার কারনে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হলেও উৎপাদন হয়েছে গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর লালমীর মূল্য গত বছরের তুলনায় বেশী। গত বছর একশত লালমী তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও এবছর বিক্রি হচ্ছে প্রতি শত পাঁচ হাজার টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর লালমীর উৎপাদন কম হওয়ায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই লালমীর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে লালমীর সংকট দেখা দিলে লালমীর দাম ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে কৃষকরা বলছেন এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় খরচ উঠাতেই হিমসিম খাচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে সদরপুর কৃষি অফিসার বিধান রায় জানান, কৃষকদের অন্যান্ন ফসল উৎপাদনে সরকারি ভাবে প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকলেও লালমী চাষে সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের আর্থিক ভাবে কোন সহযোগিতা করা যাচ্ছেনা। তবে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে সব ফসলের মত লালমী চাষে সরকারি ভাবে কৃষকদের আর্থিক ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হোক এমনটাই দাবী সদরপুর উপজেলার কৃষকদের।
- আরও দেখুন ভিডিওতেঃ
প্রিন্ট