ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ব্যতিক্রিমী উদ্যোগ

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নিম্নআয়ের ৪০ হাজার মানুষের জন্য পানির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে ডব্লিউএসউপি
চট্টগ্রামের নিম্ন আয়ের ৪০ হাজার মানুষের জন্য পানির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সম্প্রতি ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি)-কে অনুদান দিয়েছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। উন্নত অবকাঠামো ও সেবা প্রদান এবং মানুষের পানি ব্যবহার সংক্রান্ত ধরন উন্নতির মাধ্যমে পরিষ্কার, নিরাপদ পানির সরবরাহ সহজলভ্য করে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
“এনহান্সিং কমিউনিটি ওয়াটার রেজিলিয়েন্স ফর লো-ইনকাম কমিউনিটিস (এলআইসি)” নামক পাইলট প্রকল্পটি নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীতে জলবায়ু সহনশীল পানির সুবিধা প্রদর্শন করবে। প্রকল্পটি ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপেরও প্রচার করবে এবং শোষণ, দূষণ ও অপচয় থেকে পানি সরবরাহ রক্ষা করতে সহায়তা করবে। একইসাথে এটি পানিঘটিত রোগের ঝুঁকি কমাবে এবং পানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় সাহায্য করবে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, “নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতার বিষয়টি দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামে পানির সহজলভ্যতা বাড়ানোর জন্য ডব্লিউএসইউপি-র উদ্যোগে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
প্রকল্পটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হবে: সমাজের জন্য পানি সরবরাহ এলাকা (কমিউনাল ওয়াটার সাপ্লাই পয়েন্ট), পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা এবং প্রভাব ও পরিসর বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সাসটেইনেবিলিটি। কমিউনাল ওয়াটার পয়েন্টগুলোত চট্টগ্রামের নির্বাচিত কিছু নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীতে ৮,০০০জন মানুষের জন্য নিরাপদে পরিচালিত পানি সরবরাহ সুবিধার উন্নতি ও প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্ব দেবে। পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ৪০,০০০ মানুষের মাঝে সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার বিধি উন্নত করবে। প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক সাসটেইনেবিলিটি অংশ টেকসই পানি সরবরাহ সেবাগুলোকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি)-র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষের বড় জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা সমাজের মেরুদণ্ড এবং সমাজে তাদের অবদান প্রশংসনীয়। আমি আনন্দিত যে, কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আমরা তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে এবং তাদের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সাহায্য করতে পারবো।”
চট্টগ্রাম ওয়াসা ও ডব্লিউএসইউপি-র যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস উৎযাপনের আয়োজনে এই উদ্যোগের ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান কর্মকর্তা এবং ইউনিসেফ, ইউএনডিপি এবং বিভিন্ন আইএনজিও, এনজিওসহ উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ): ১৯৮৪ সালে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানুষ ও কমিউনিটির সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এ পর্যন্ত তারা বিশ্ব জুড়ে ১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি): ডব্লিউএসইউপি একটি অলাভজনক সংস্থা, যার লক্ষ্য হলো সেবা প্রদানকারী এবং অন্যান্যদের সক্ষমতা জোরদার করার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্রদের জীবনের উন্নয়ন। টেকসই পানি এবং স্যানিটেশন সেবা প্রদান, উন্নত স্বাস্থ্যবিধি প্রচার এবং জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মান বাড়ানোও এর উদ্দেশ্য।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ব্যতিক্রিমী উদ্যোগ

আপডেট টাইম : ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নিম্নআয়ের ৪০ হাজার মানুষের জন্য পানির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে ডব্লিউএসউপি
চট্টগ্রামের নিম্ন আয়ের ৪০ হাজার মানুষের জন্য পানির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সম্প্রতি ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি)-কে অনুদান দিয়েছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। উন্নত অবকাঠামো ও সেবা প্রদান এবং মানুষের পানি ব্যবহার সংক্রান্ত ধরন উন্নতির মাধ্যমে পরিষ্কার, নিরাপদ পানির সরবরাহ সহজলভ্য করে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
“এনহান্সিং কমিউনিটি ওয়াটার রেজিলিয়েন্স ফর লো-ইনকাম কমিউনিটিস (এলআইসি)” নামক পাইলট প্রকল্পটি নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীতে জলবায়ু সহনশীল পানির সুবিধা প্রদর্শন করবে। প্রকল্পটি ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপেরও প্রচার করবে এবং শোষণ, দূষণ ও অপচয় থেকে পানি সরবরাহ রক্ষা করতে সহায়তা করবে। একইসাথে এটি পানিঘটিত রোগের ঝুঁকি কমাবে এবং পানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় সাহায্য করবে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, “নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতার বিষয়টি দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামে পানির সহজলভ্যতা বাড়ানোর জন্য ডব্লিউএসইউপি-র উদ্যোগে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
প্রকল্পটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হবে: সমাজের জন্য পানি সরবরাহ এলাকা (কমিউনাল ওয়াটার সাপ্লাই পয়েন্ট), পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা এবং প্রভাব ও পরিসর বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সাসটেইনেবিলিটি। কমিউনাল ওয়াটার পয়েন্টগুলোত চট্টগ্রামের নির্বাচিত কিছু নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীতে ৮,০০০জন মানুষের জন্য নিরাপদে পরিচালিত পানি সরবরাহ সুবিধার উন্নতি ও প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্ব দেবে। পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ৪০,০০০ মানুষের মাঝে সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার বিধি উন্নত করবে। প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক সাসটেইনেবিলিটি অংশ টেকসই পানি সরবরাহ সেবাগুলোকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি)-র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষের বড় জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা সমাজের মেরুদণ্ড এবং সমাজে তাদের অবদান প্রশংসনীয়। আমি আনন্দিত যে, কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আমরা তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে এবং তাদের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সাহায্য করতে পারবো।”
চট্টগ্রাম ওয়াসা ও ডব্লিউএসইউপি-র যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস উৎযাপনের আয়োজনে এই উদ্যোগের ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান কর্মকর্তা এবং ইউনিসেফ, ইউএনডিপি এবং বিভিন্ন আইএনজিও, এনজিওসহ উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ): ১৯৮৪ সালে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানুষ ও কমিউনিটির সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এ পর্যন্ত তারা বিশ্ব জুড়ে ১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দি আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি): ডব্লিউএসইউপি একটি অলাভজনক সংস্থা, যার লক্ষ্য হলো সেবা প্রদানকারী এবং অন্যান্যদের সক্ষমতা জোরদার করার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্রদের জীবনের উন্নয়ন। টেকসই পানি এবং স্যানিটেশন সেবা প্রদান, উন্নত স্বাস্থ্যবিধি প্রচার এবং জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মান বাড়ানোও এর উদ্দেশ্য।