ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জায়গা পরিদর্শন করলেন ফরিদপুরের ডিসি Logo পাংশায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ভাতাভোগীদের এসবিসিসি প্রশিক্ষণ শুরু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা Logo তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় হুমায়রা তৃতীয় Logo তানোর পৌরসভা দাখিল মাদরাসা সভাপতি মালেককে সংবর্ধনা Logo তিল চাষে আগ্রহ হারিয়েছে আত্রাইয়ের কৃষকরা Logo রাস-আল-খাইমাহ চেম্বার এর চেয়ারম্যান মোঃ আলী আল নুয়াইমির সঙ্গে কনসাল জেনারেলের সাক্ষাৎ Logo নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদারঃ -রাষ্ট্রদূত

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন বরাবরই বাংলাদেশের বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশের প্রতি চীন সব সময় ধারাবাহিক নীতি বজায় রেখেছে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থানকে চীন সমর্থন করে।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের দেয়া সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বডুয়া।

রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের আরো ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে চীন সহযোগিতা করতে পারে। দুই দেশ এক সাথে বিকশিত হতে পারে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে এ দেশের রাজনীতিবিদদের মতপার্থক্য নেই। আজ মঞ্চে উপস্থিত তিনটি দলের প্রতিনিধিরা সেটার প্রমাণ দিচ্ছেন। তারা সবাই এ সম্পর্কের সমর্থক। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের সাথে সম্পর্কে চীন বিশ্বাসী।

চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য পরস্পর বৈরী দেশগুলো সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিতে পারে- এমন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। সংলাপ ও শান্তির বিজয় হয়েছে।

চীনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আমীর হোসেন আমু বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন জোরালো ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশের জনগণ আরো বেশি সন্তুষ্ট হতো। রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত।

আবদুল মঈন খান বলেন, চীন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীন যেভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, সেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও সেই সামর্থ্য নেই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জায়গা পরিদর্শন করলেন ফরিদপুরের ডিসি

error: Content is protected !!

চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদারঃ -রাষ্ট্রদূত

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন বরাবরই বাংলাদেশের বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশের প্রতি চীন সব সময় ধারাবাহিক নীতি বজায় রেখেছে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থানকে চীন সমর্থন করে।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের দেয়া সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বডুয়া।

রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের আরো ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে চীন সহযোগিতা করতে পারে। দুই দেশ এক সাথে বিকশিত হতে পারে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে এ দেশের রাজনীতিবিদদের মতপার্থক্য নেই। আজ মঞ্চে উপস্থিত তিনটি দলের প্রতিনিধিরা সেটার প্রমাণ দিচ্ছেন। তারা সবাই এ সম্পর্কের সমর্থক। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের সাথে সম্পর্কে চীন বিশ্বাসী।

চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য পরস্পর বৈরী দেশগুলো সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিতে পারে- এমন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। সংলাপ ও শান্তির বিজয় হয়েছে।

চীনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আমীর হোসেন আমু বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন জোরালো ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশের জনগণ আরো বেশি সন্তুষ্ট হতো। রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত।

আবদুল মঈন খান বলেন, চীন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীন যেভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, সেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও সেই সামর্থ্য নেই।


প্রিন্ট