ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাঃ ইইউ রাষ্ট্রদূত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে চোখে চোখ রাখা সম্পর্ক বলে অবহিত করেছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ ইউরোপের পাশে দাঁড়াবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপের বিনিয়োগে একটি উইন-উইন সিচুয়েশন তৈরি হবে। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছর সম্পর্কের পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে (বাংলাদেশে) অনেক ইউরোপীয় কম্পানি রয়েছে, যারা ব্যবসা করে অনেক টাকা কামিয়েছে। অতীতেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটা বড় ইস্যু। এই ইস্যুতে আমরা চেষ্টা করছি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে। তিন কোটি রোহিঙ্গা দেশে আসছে। এটা একটা বড় সংখ্যা।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজার পুরোপুরি রপ্তানিযোগ্য নয়। আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যও আমদানি করতে হয়। এ জন্য আমাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ দরকার। মজুরি বাড়বে না, যদি না উৎপাদন বাড়ে, উৎপাদন বাড়বে না যদি না পর্যাপ্ত কাঁচামাল না বাড়ে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অংশীদারির ভবিষ্যৎ কী সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ১৯৭৩ সালে যখন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়, এরপর ২০০১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুল্ক ছাড় দেয়। আমাদের বাণিজ্যের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ইইউ সেটা আমাদের বুঝতে হবে।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাঃ ইইউ রাষ্ট্রদূত

আপডেট টাইম : ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে চোখে চোখ রাখা সম্পর্ক বলে অবহিত করেছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ ইউরোপের পাশে দাঁড়াবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপের বিনিয়োগে একটি উইন-উইন সিচুয়েশন তৈরি হবে। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছর সম্পর্কের পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে (বাংলাদেশে) অনেক ইউরোপীয় কম্পানি রয়েছে, যারা ব্যবসা করে অনেক টাকা কামিয়েছে। অতীতেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটা বড় ইস্যু। এই ইস্যুতে আমরা চেষ্টা করছি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে। তিন কোটি রোহিঙ্গা দেশে আসছে। এটা একটা বড় সংখ্যা।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজার পুরোপুরি রপ্তানিযোগ্য নয়। আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যও আমদানি করতে হয়। এ জন্য আমাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ দরকার। মজুরি বাড়বে না, যদি না উৎপাদন বাড়ে, উৎপাদন বাড়বে না যদি না পর্যাপ্ত কাঁচামাল না বাড়ে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অংশীদারির ভবিষ্যৎ কী সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ১৯৭৩ সালে যখন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়, এরপর ২০০১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুল্ক ছাড় দেয়। আমাদের বাণিজ্যের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ইইউ সেটা আমাদের বুঝতে হবে।’