ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পারিবারিক কলহের জের

মহম্মদপুরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে যুবক খুনঃ বাবা ও চাচা গুরুতর আহত, ঘাতক গ্রেপ্তার

-কন্যার সাথে আলামিন ওরফে হামিম।                       ঘাতক সোহেল।

মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত আটটার সময় পারিবারিক কলহের জেরধরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে আলামিন ওরফে হামিম (২৭) নামের এক যুবক নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। আমীন ওই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল রানার পিতার নাম নওশের শেখ। নিহত যুবক ও ঘাতকের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে নিহত আলামিনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা। তার কান্নায় আশেপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বোরহান উল ইসলাম জানান, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আলামিন ওরফে আলামিনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন তার চাচাতো ভাই সেহেল রানার স্ত্রী সম্পর্কে এলাকায় কুৎসা রটায়। এ বিষয়টি নিয়ে ঘটনার রাতে আমীনের সাথে সোহেল রানার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল রানা ধারালো দা’ দিয়ে বাড়িরে পশ্চিম পাশের ফাঁকা জায়গায় আমীনকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। বাধা দিতে এগিয়ে গেলে আমীনের বাবা শামছুর রহমান এবং নিজের বাবা নওশের আলীকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সোহেল রানা। স্থানীয়রা তিনজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমীন ওরফে আমীনকে মৃত: বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর দুই ব্যক্তি শামছুর রহমার (৫৫) এবং নওশের আলী (৬০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের অবস্থাও আশঙ্খাজনক।

নৃশংস এ ঘটনার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসেন। মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা জেলার চারটি থানার পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন এবং রেড এলার্ড জারি করেন। থানায় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক সোহেল রানার ছবি। ঘাতক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। হত্যাকান্ডের তিনঘণ্টার পর মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ওয়াপদা নামক এলাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৮৫৮) তল্লাশি করেন শ্রীপুর থানার এসআই ইন্দ্রজিৎসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ বাসে তল্লাশি করে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকন্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা’ উদ্ধার করে পুলিশ।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাগুরা জেলা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রক্কালে হত্যাকারী সোহেল রানাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

-স্বজনদের আহাজারী।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পারিবারিক কলহের জের

মহম্মদপুরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে যুবক খুনঃ বাবা ও চাচা গুরুতর আহত, ঘাতক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
মো. কামরুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরা :

মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত আটটার সময় পারিবারিক কলহের জেরধরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে আলামিন ওরফে হামিম (২৭) নামের এক যুবক নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। আমীন ওই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল রানার পিতার নাম নওশের শেখ। নিহত যুবক ও ঘাতকের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে নিহত আলামিনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা। তার কান্নায় আশেপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বোরহান উল ইসলাম জানান, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আলামিন ওরফে আলামিনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন তার চাচাতো ভাই সেহেল রানার স্ত্রী সম্পর্কে এলাকায় কুৎসা রটায়। এ বিষয়টি নিয়ে ঘটনার রাতে আমীনের সাথে সোহেল রানার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল রানা ধারালো দা’ দিয়ে বাড়িরে পশ্চিম পাশের ফাঁকা জায়গায় আমীনকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। বাধা দিতে এগিয়ে গেলে আমীনের বাবা শামছুর রহমান এবং নিজের বাবা নওশের আলীকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সোহেল রানা। স্থানীয়রা তিনজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমীন ওরফে আমীনকে মৃত: বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর দুই ব্যক্তি শামছুর রহমার (৫৫) এবং নওশের আলী (৬০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের অবস্থাও আশঙ্খাজনক।

নৃশংস এ ঘটনার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসেন। মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা জেলার চারটি থানার পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন এবং রেড এলার্ড জারি করেন। থানায় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক সোহেল রানার ছবি। ঘাতক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। হত্যাকান্ডের তিনঘণ্টার পর মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ওয়াপদা নামক এলাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৮৫৮) তল্লাশি করেন শ্রীপুর থানার এসআই ইন্দ্রজিৎসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ বাসে তল্লাশি করে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকন্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা’ উদ্ধার করে পুলিশ।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাগুরা জেলা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রক্কালে হত্যাকারী সোহেল রানাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

-স্বজনদের আহাজারী।

প্রিন্ট