ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম Logo স্কুল ছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল গ্রেফতার Logo যাত্রীর গায়ের পোশাক পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ Logo কালুখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন Logo ঈশ্বরদীতে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ, জরিমানা ১০ হাজার টাকা Logo ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ার দিঘীতে মিললো এক মণ ওজনের কোরাল মাছ, ৪০ হাজারে বিক্রি ! Logo পদ্মা নদী থেকে ১৯ ঘণ্টা পর কিশোরের লাশ উদ্ধার Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‌ছাত্রলীগের কর্মসূচি পালিত Logo ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শোর বন্দবিলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নাছরিন নাহার ৮ তম বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি 

যশোর  বাঘারপাড়া উপজেলার ২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের প্রেমচারা গ্রামের নাছরিন নাহার রত্না (৪৫) আবারও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গাইদঘাট গ্রামের বিবাহিত আয়নাল হক (৪০) কে বিয়ে করেছে। এটা হলো নাসরিন নাহার রত্নার (৮ম তম) বিবাহ। সরেজমিনে শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী মুসলিম বিবাহ রেজিস্টার সূত্রে জানা যায় গত শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে খাজুরা কাজী অফিসে আয়নাল হক বিয়ে করে নাছরিন নাহার কে। গাইদঘাট গ্রামের মৃত নিহাল শিকদারের পুত্র আয়নাল হক বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার সময় বলে তাহার ঘরে কোন স্ত্রী নাই। অনুরুপ প্রেমচারা গ্রামের গোলাম নবীর কন্যা নাছরিন নাহার নিজেকে স্বামী পরিত্যক্তা ঘোষণা করে।

আয়নাল হকের বাড়িতে গেলে আয়নালের স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৮) ও মেয়ে ফাতেমা (২২) জানান আয়নাল পাশ্ববর্তী প্রেমচারা গ্রামের হোমিওপ্যাথি ডাঃ নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছে। আর তারা দুঃখ ভারাক্রান্ত ও রাগান্বিত হয়ে আয়নাল হক ও নাছরিন নাহার এই দুজনের অপরাধের জন্য আইনের কঠিনতম শাস্তি কামনা করেন। পারভীন বেগম জানান আমার স্বামী প্রতিদিন মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলতো যেটা আমি কখনও সহ্য ও মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না, তাই আমি তাকে মগ ও ডিস ছুড়ে শরীরে আঘাত করি। এবিষয়ে আয়নাল হক জানান ২২ বছর ধরে আমি আমার স্ত্রীর মানসিক আঘাত ও শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পুলেরহাট বাজারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক প্রেমচারা গ্রামের নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছি।

তার কাছে নাছরিন নাহার এর পূর্বের স্বামী গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন এর কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি সবকিছু জেনে শুনেই নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছি। কিন্তু নাসরিন নাহার রত্নার পূর্বের স্বামী কবির হোসেন এর দাবি নাসরিন তার বিবাহিত স্ত্রী। আর তাদের পূর্বের স্বামী-স্ত্রীর বিষয় নিয়ে মাগুরা-যশোর জর্জ কোর্ট আদালতে ১০ টা মামলা হয়েছে যার মধ্যে ৩ টা মামলা খারিজ হয়েছে আর এখনও ৭ টা মামলা চলমান ২ জেলায়, যে ৩ টা মিথ্যা মামলা খারিজ হয়েছে সেগুলো নাছরিন নাহার এর করা মামলা। কবির হোসেন আরও জানান এই নাছরিন নাহার (রত্না) একটা ভয়ংকর প্রতারক নারী আমার সাথেই তার দুবার বিয়ে হয়েছে।

সে এর আগেও ৬-৭ জনসহ বেশ কয়েক জনলোকের মামলা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সংসার জীবন ভেঙ্গে দিয়েছে। এই প্রতারক নাছরিন নাহার আমার কাছে থেকে ২ লাখ টাকা, স্বর্ণের গহনা ও দামি মোবাইল ফোন নিয়ে মাগুরা শালিখা উপজেলার সীমাখালী ভাড়া বাড়ি থেকে আত্মসাৎ করে পালিয়ে চলে যায়। আমার বিবাহের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে হতে নিজের টাকায় ক্রয়কৃত ১৩ শতক জমির মাধ্যমে নাছরিন নাহার রত্না আমাকে বিয়ে করে কিন্তু দলিলে  শর্ত থাকে যে সে আমাকে কখনও স্বেচ্ছায় আমার ঘর থেকে ও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে এই জমির মালিকানা দাবী করতে পারবে না।

বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মফিজ রহমান বলেন নাছরিন নাহার রত্না সাম্প্রতিক গাইদঘাট গ্রামের আয়নালকে বিয়ে করেছে এই রত্না এর আগেও বেশ কয়েকজনকে বিয়ে করেছে। এই বিয়ে করার মাধ্যমে সে তাদের কাছে থেকে কাবিননামার মোটা অঙ্কের টাকা এবং জমি ও স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে চলে আসে এটা তার পূর্বের জাত ব্যবসা। তিনি আরও বলেন সে তো গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন এর স্ত্রী এখনও কবির তাকে ডিভোর্স দেয়নি। তবে শুনলাম ইতিমধ্যে আয়নালের সাথে ছাড়াছাড়ির জন্য রত্না ও তার পরিবারের সদস্যরা উঠে পড়ে লেগেছে।

বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সব্দুল হোসেন জানান রত্নার আবারও বিয়ে করেছে এবিষয়ে আমি কিছু এখনও শুনি নাই। বিয়ের বিষয়ে নাছরিন নাহার রত্নার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম

error: Content is protected !!

শোর বন্দবিলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নাছরিন নাহার ৮ তম বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি 

আপডেট টাইম : ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোর  বাঘারপাড়া উপজেলার ২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের প্রেমচারা গ্রামের নাছরিন নাহার রত্না (৪৫) আবারও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গাইদঘাট গ্রামের বিবাহিত আয়নাল হক (৪০) কে বিয়ে করেছে। এটা হলো নাসরিন নাহার রত্নার (৮ম তম) বিবাহ। সরেজমিনে শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী মুসলিম বিবাহ রেজিস্টার সূত্রে জানা যায় গত শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে খাজুরা কাজী অফিসে আয়নাল হক বিয়ে করে নাছরিন নাহার কে। গাইদঘাট গ্রামের মৃত নিহাল শিকদারের পুত্র আয়নাল হক বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার সময় বলে তাহার ঘরে কোন স্ত্রী নাই। অনুরুপ প্রেমচারা গ্রামের গোলাম নবীর কন্যা নাছরিন নাহার নিজেকে স্বামী পরিত্যক্তা ঘোষণা করে।

আয়নাল হকের বাড়িতে গেলে আয়নালের স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৮) ও মেয়ে ফাতেমা (২২) জানান আয়নাল পাশ্ববর্তী প্রেমচারা গ্রামের হোমিওপ্যাথি ডাঃ নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছে। আর তারা দুঃখ ভারাক্রান্ত ও রাগান্বিত হয়ে আয়নাল হক ও নাছরিন নাহার এই দুজনের অপরাধের জন্য আইনের কঠিনতম শাস্তি কামনা করেন। পারভীন বেগম জানান আমার স্বামী প্রতিদিন মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলতো যেটা আমি কখনও সহ্য ও মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না, তাই আমি তাকে মগ ও ডিস ছুড়ে শরীরে আঘাত করি। এবিষয়ে আয়নাল হক জানান ২২ বছর ধরে আমি আমার স্ত্রীর মানসিক আঘাত ও শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পুলেরহাট বাজারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক প্রেমচারা গ্রামের নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছি।

তার কাছে নাছরিন নাহার এর পূর্বের স্বামী গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন এর কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি সবকিছু জেনে শুনেই নাছরিন নাহার কে বিয়ে করেছি। কিন্তু নাসরিন নাহার রত্নার পূর্বের স্বামী কবির হোসেন এর দাবি নাসরিন তার বিবাহিত স্ত্রী। আর তাদের পূর্বের স্বামী-স্ত্রীর বিষয় নিয়ে মাগুরা-যশোর জর্জ কোর্ট আদালতে ১০ টা মামলা হয়েছে যার মধ্যে ৩ টা মামলা খারিজ হয়েছে আর এখনও ৭ টা মামলা চলমান ২ জেলায়, যে ৩ টা মিথ্যা মামলা খারিজ হয়েছে সেগুলো নাছরিন নাহার এর করা মামলা। কবির হোসেন আরও জানান এই নাছরিন নাহার (রত্না) একটা ভয়ংকর প্রতারক নারী আমার সাথেই তার দুবার বিয়ে হয়েছে।

সে এর আগেও ৬-৭ জনসহ বেশ কয়েক জনলোকের মামলা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সংসার জীবন ভেঙ্গে দিয়েছে। এই প্রতারক নাছরিন নাহার আমার কাছে থেকে ২ লাখ টাকা, স্বর্ণের গহনা ও দামি মোবাইল ফোন নিয়ে মাগুরা শালিখা উপজেলার সীমাখালী ভাড়া বাড়ি থেকে আত্মসাৎ করে পালিয়ে চলে যায়। আমার বিবাহের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে হতে নিজের টাকায় ক্রয়কৃত ১৩ শতক জমির মাধ্যমে নাছরিন নাহার রত্না আমাকে বিয়ে করে কিন্তু দলিলে  শর্ত থাকে যে সে আমাকে কখনও স্বেচ্ছায় আমার ঘর থেকে ও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে এই জমির মালিকানা দাবী করতে পারবে না।

বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মফিজ রহমান বলেন নাছরিন নাহার রত্না সাম্প্রতিক গাইদঘাট গ্রামের আয়নালকে বিয়ে করেছে এই রত্না এর আগেও বেশ কয়েকজনকে বিয়ে করেছে। এই বিয়ে করার মাধ্যমে সে তাদের কাছে থেকে কাবিননামার মোটা অঙ্কের টাকা এবং জমি ও স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে চলে আসে এটা তার পূর্বের জাত ব্যবসা। তিনি আরও বলেন সে তো গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন এর স্ত্রী এখনও কবির তাকে ডিভোর্স দেয়নি। তবে শুনলাম ইতিমধ্যে আয়নালের সাথে ছাড়াছাড়ির জন্য রত্না ও তার পরিবারের সদস্যরা উঠে পড়ে লেগেছে।

বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সব্দুল হোসেন জানান রত্নার আবারও বিয়ে করেছে এবিষয়ে আমি কিছু এখনও শুনি নাই। বিয়ের বিষয়ে নাছরিন নাহার রত্নার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।