ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জে দূর্নীতি ও প্রতারণা করা সেই ত্রাণ কর্মকর্তার তদন্ত শুরু Logo কুষ্টিয়ায় জেল পলাতক আসামি রুবেল গ্রেফতার Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবসহ সেবাদান প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ালেন আদিত্য ফাউন্ডেশন Logo ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শামীম তালুকদার গ্রেপ্তার Logo এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র Logo মাগুরা শ্রীপুরে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গ্রেফতার Logo রাশিয়ার কুরস্কে ৪০ শতাংশ এলাকার দখল হারিয়েছে ইউক্রেন Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে যাওয়ায় ১৫ নেতাকে শোকজ Logo ভিডিও ফুটেজে নারীর ওপর হামলা, পুলিশের প্রতিবেদনে উলটে গেল ঘটনা Logo নতুন নেতৃত্বের আ’লীগ চায় বিএনপি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব নগরের বর্জ্য থেকে

জাপানি দুই প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা * প্রতিদিন গড়ে বর্জ্য উৎপাদন হয় দুই হাজার ১০০ টন, এর মধ্যে এক হাজার টন বর্জ্য ব্যবহার করা যেতে পারে

নগরে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্য থেকে মাত্র এক হাজার টন ব্যবহার করে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। জাপান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশটির প্রতিষ্ঠান ‘জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ এবং ‘ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ এর সমীক্ষায় উঠে আসে এ তথ্য। সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, নগরে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ১০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। যার ৬৮ শতাংশই খাদ্য সংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার টন বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে সমীক্ষায় বলা হয়।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ‘জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ নামের প্রতিষ্ঠানটি নগরে ২০২২ সালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট’ প্রকল্পের আগ্রহ দেখায়। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষায় চালায় জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার নগরের একটি হোটেলে সেমিনার করে সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। এতে সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে নগরে একটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, নগরের দুটি বর্জ্যাগার বা ল্যান্ডফিল ব্যবহার অনুপযোগী হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে হালিশহরের আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল এবং বায়েজিদ আরেফিন নগরের ল্যান্ডফিল। হালিশহর বর্জ্যাগার ১৪ মাস এবং আরেফিন নগর বর্জ্যাগারে আর পাঁচ মাস বর্জ্য ফেলা যাবে। তাই নতুন ল্যান্ডফিলকে ঘিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনে নগরে বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ, এর ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গঠন, বর্জ্যে ক্যালোরিফিকের পরিমাণ (দহন মাত্রা), সংগ্রহ ও অপসারণের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বর্জ্য ট্রিটমেন্ট এর যথাযথ টেকনোলজি নির্ধারণে প্রস্তাব করে। তাছাড়া চসিক এলাকায় ক্রমশ বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ল্যান্ডফিলের স্থান স্বল্পতা প্রভৃতি সমস্যা সমাধানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উপর জোর দেয়া হয়। এছাড়া উৎসস্থল থেকেই বর্জ্য পৃথকীকরণের উপর জোর দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, চসিকের বিদ্যমান ল্যান্ডফিল দুটির মধ্যে হালিশহরের আনন্দবাজার ল্যান্ডফিলটি গড়ে উঠেছে ৯ একর ভূমির উপর। এ ল্যান্ডফিলে নগরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ থেকে ২৩টি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলা হয়। এছাড়া ১১ একর জায়গার উপর গড়ে উঠা বায়েজিদ আরেফিন নগরের ল্যান্ডফিলে ১৮ থেকে ১৯টি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলা হয়।

এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রামে যে বিপুল বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর আর টেকসই শহরে পরিণত করতে চাই।

সেমিনার : সেমিনারে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের পর তা ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে বছরের পর বছর পচনের জন্য ফেলে রাখার নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। বিভিন্ন আধুনিক দেশে আমি বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনা করে কীভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন করে তা দেখেছি। এই অভিজ্ঞতাকে আমি চট্টগ্রামে কাজে লাগাতে চাই। প্রতিদিন চট্টগ্রামে যে বিপুল বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর আর টেকসই শহরে পরিণত করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে তা যে কেবল নগরীকে অপরিচ্ছন্ন করে তা নয় বরং বর্জ্য জনমানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ভয়াবহ হুমকি হয়ে ওঠে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তিভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, আমরা এখন বর্জ্য পৃথকীকরণে জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনযোগ্যতা, রিসাইকেলযোগ্যতা ইত্যাদির ভিত্তিতে প্রথমেই আলাদা করে ফেলছি। এরপর সে বর্জ্যগুলোকে কাজে লাগাচ্ছি। ইতোমধ্যে নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যেটির সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর এবং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে পৃথকীকরণ শুরু করেছি।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি সুভাষ বড়ুয়া, সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, জাপান বর্জ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাওয়া সুকামোতো, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক জেন তাকাহাশি ও ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাসাহিরো সাইতো।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে দূর্নীতি ও প্রতারণা করা সেই ত্রাণ কর্মকর্তার তদন্ত শুরু

error: Content is protected !!

১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব নগরের বর্জ্য থেকে

আপডেট টাইম : ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

নগরে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্য থেকে মাত্র এক হাজার টন ব্যবহার করে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। জাপান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশটির প্রতিষ্ঠান ‘জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ এবং ‘ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ এর সমীক্ষায় উঠে আসে এ তথ্য। সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, নগরে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ১০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। যার ৬৮ শতাংশই খাদ্য সংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার টন বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে সমীক্ষায় বলা হয়।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ‘জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ নামের প্রতিষ্ঠানটি নগরে ২০২২ সালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট’ প্রকল্পের আগ্রহ দেখায়। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষায় চালায় জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার নগরের একটি হোটেলে সেমিনার করে সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। এতে সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে নগরে একটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, নগরের দুটি বর্জ্যাগার বা ল্যান্ডফিল ব্যবহার অনুপযোগী হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে হালিশহরের আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল এবং বায়েজিদ আরেফিন নগরের ল্যান্ডফিল। হালিশহর বর্জ্যাগার ১৪ মাস এবং আরেফিন নগর বর্জ্যাগারে আর পাঁচ মাস বর্জ্য ফেলা যাবে। তাই নতুন ল্যান্ডফিলকে ঘিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনে নগরে বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ, এর ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গঠন, বর্জ্যে ক্যালোরিফিকের পরিমাণ (দহন মাত্রা), সংগ্রহ ও অপসারণের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বর্জ্য ট্রিটমেন্ট এর যথাযথ টেকনোলজি নির্ধারণে প্রস্তাব করে। তাছাড়া চসিক এলাকায় ক্রমশ বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ল্যান্ডফিলের স্থান স্বল্পতা প্রভৃতি সমস্যা সমাধানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উপর জোর দেয়া হয়। এছাড়া উৎসস্থল থেকেই বর্জ্য পৃথকীকরণের উপর জোর দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, চসিকের বিদ্যমান ল্যান্ডফিল দুটির মধ্যে হালিশহরের আনন্দবাজার ল্যান্ডফিলটি গড়ে উঠেছে ৯ একর ভূমির উপর। এ ল্যান্ডফিলে নগরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ থেকে ২৩টি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলা হয়। এছাড়া ১১ একর জায়গার উপর গড়ে উঠা বায়েজিদ আরেফিন নগরের ল্যান্ডফিলে ১৮ থেকে ১৯টি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলা হয়।

এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রামে যে বিপুল বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর আর টেকসই শহরে পরিণত করতে চাই।

সেমিনার : সেমিনারে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের পর তা ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে বছরের পর বছর পচনের জন্য ফেলে রাখার নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। বিভিন্ন আধুনিক দেশে আমি বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনা করে কীভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন করে তা দেখেছি। এই অভিজ্ঞতাকে আমি চট্টগ্রামে কাজে লাগাতে চাই। প্রতিদিন চট্টগ্রামে যে বিপুল বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর আর টেকসই শহরে পরিণত করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে তা যে কেবল নগরীকে অপরিচ্ছন্ন করে তা নয় বরং বর্জ্য জনমানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ভয়াবহ হুমকি হয়ে ওঠে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তিভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, আমরা এখন বর্জ্য পৃথকীকরণে জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনযোগ্যতা, রিসাইকেলযোগ্যতা ইত্যাদির ভিত্তিতে প্রথমেই আলাদা করে ফেলছি। এরপর সে বর্জ্যগুলোকে কাজে লাগাচ্ছি। ইতোমধ্যে নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যেটির সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর এবং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে পৃথকীকরণ শুরু করেছি।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি সুভাষ বড়ুয়া, সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, জাপান বর্জ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাওয়া সুকামোতো, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক জেন তাকাহাশি ও ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাসাহিরো সাইতো।


প্রিন্ট