ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইক্রো ও কার স্ট্যান্ড শহরের হামদহ এলাকায় সরিয়ে নিতে চাইলে ডিসির সাথে বাস ও মাইক্রো শ্রমিকদের ব্যাপকভাবে বাক বিতন্ডা হয়েছে। সেসময় বাস ও মাইক্রো শ্রমিকরা রাস্তার উপর বাস ও মাইক্রোগাড়ি দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়ে তারা বিক্ষোভ করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
শেষমেশ ডিসি সাহেব সেখান থেকে চলে যায়। জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মেইন রাস্তার পাশে মাইক্রো স্ট্যান্ডটি অনুমান ১৫ বৎসর যাবৎ পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে উক্ত স্ট্যান্ডটি ঝিনাইদহ সদর এমপি পক্ষের ওলিয়ার ও খোকনের নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত হচ্ছে।
গত ৫ মাস পূর্বে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু পাগলাকানাই থেকে হামদহ মহাসড়কের পাশে পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ডকে নতুন মাইক্রো স্ট্যান্ড হিসেবে শহরের হামদহ এলাকায় জায়গা নির্ধারন করেন। পরবর্তিতে মেয়র পক্ষের আঃ মতিনের নেতৃত্বে উক্ত নতুন মাইক্রো স্ট্যান্ডে অনুমান ৩০/৪০ টি মাইক্রো গাড়ি স্থানান্তরিত করে কার্যক্রম শুরু করে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে মেয়র ও এমপি গ্রুপ উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তর্কোন্দল চলে আসছে।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক জনাব সরোজ কুমার নাথ মহোদয় চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে মাইক্রোবাস চালকদের নতুন মাইক্রোস্ট্যান্ড অন্যাত্র শিফট হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। এসময় বাস ও মাইক্রো চালকদের ও শ্রমিকদের ব্যাপকভাবে বাকবিতন্ডা শুরু হলে ডিসি সাহেব একজন চালকের চাবি কেড়ে নেন।
সেসময় সাধারন চালকেরা বাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের খোকন, বাদশা ও সিরাজগংদের নেতৃত্তে¡ ক্ষুব্ধ হয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এবং আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে অনুমান আধা ঘন্টা যাবৎ বাস ও মাইক্রো গাড়ি রাস্তার মাঝে আড়াআড়ি করে দিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।