ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo লালপুরে আ’লীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান আসামি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান Logo রায়পুরাতে মুক্তি পাগলীর মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি Logo বাঘায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীরবাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo মাগুরাতে মুসলিম এইড বাংলাদেশ জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান Logo ভিন্নগ্রহের ভালোবাসা Logo আলফাডাঙ্গায় অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণঃ জনমনে আতঙ্ক Logo ফরিদপুরে কমরেড আতিয়ার রহমানের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo বাঘায় প্রতিটি দপ্তরকে আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চান ইউএনওঃ রাতেও শীতার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন শীতবস্ত্র
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলে স্বামী দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির ৪০ উর্দ্ধ এক নারী

জেলার লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন ৪০ উর্দ্ধ এক নারী। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা মোসা: লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনকে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবী করেন।

এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।

মোসা: লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতেন। সে সময় অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে ইং তারিখে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্টি কাবিন আছে। অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। এবং সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন।

কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছেছেন অধ্যক্ষ। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচারের দাবীতে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।

লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে লাভলী ইয়াসমীন নামে ওই নারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ

error: Content is protected !!

নড়াইলে স্বামী দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির ৪০ উর্দ্ধ এক নারী

আপডেট টাইম : ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :

জেলার লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন ৪০ উর্দ্ধ এক নারী। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা মোসা: লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনকে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবী করেন।

এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।

মোসা: লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতেন। সে সময় অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে ইং তারিখে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্টি কাবিন আছে। অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। এবং সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন।

কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছেছেন অধ্যক্ষ। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচারের দাবীতে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।

লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে লাভলী ইয়াসমীন নামে ওই নারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।


প্রিন্ট