ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন Logo রাজশাহী রেঞ্জ ও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন গোদাগাড়ী থানার রুহুল আমিন Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে —ডঃ হামিদুর রহমান Logo বায়তুন নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি ওমরাহ পালন: মানবসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত Logo আলমডাঙ্গার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মহেশপুরের সায়ের আলি মারা গেছে Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ‌ অবস্থান কর্মসূচি ‌ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলে স্বামী দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির ৪০ উর্দ্ধ এক নারী

জেলার লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন ৪০ উর্দ্ধ এক নারী। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা মোসা: লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনকে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবী করেন।

এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।

মোসা: লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতেন। সে সময় অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে ইং তারিখে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্টি কাবিন আছে। অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। এবং সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন।

কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছেছেন অধ্যক্ষ। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচারের দাবীতে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।

লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে লাভলী ইয়াসমীন নামে ওই নারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান

error: Content is protected !!

নড়াইলে স্বামী দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির ৪০ উর্দ্ধ এক নারী

আপডেট টাইম : ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :

জেলার লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন ৪০ উর্দ্ধ এক নারী। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা মোসা: লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনকে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবী করেন।

এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।

মোসা: লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতেন। সে সময় অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে ইং তারিখে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্টি কাবিন আছে। অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। এবং সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন।

কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছেছেন অধ্যক্ষ। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচারের দাবীতে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।

লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে লাভলী ইয়াসমীন নামে ওই নারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।


প্রিন্ট