ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস Logo ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব, থানায় জিডি Logo কুষ্টিয়ায় হাসপাতাল কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ Logo সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার অনুষ্ঠিত Logo রমজানে পণ্য মূল্য সহনীয় রাখতে চরভদ্রাসনে বাজার মনিটরিং Logo বোয়ালমারীতে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল শান্তা Logo গোমস্তাপুরে মেসার্স নজরুল অটো রাইস মিলের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত Logo নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ Logo হাতিয়ায় আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের লোকেদের ইফতার সামগ্রী দিচ্ছেন সুমন রাফি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাদ্রাসার শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত রেখে মানববন্ধন করার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বাইখীর বনচাকী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখে ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন করারা অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল শোয়াদশটায় মাদ্রাসার মূল গেটে মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি মাদ্রাসায় ২টি পদে নিয়োগ পরিক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ ছিল কাউকে না জানিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল কাইয়ুম গোপনে ২টি পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছিলেন বলে জানা গেছে । স্থানীয় লোকজন সেটা টেরপেয়ে পরিক্ষা শুরুর আগে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারের কক্ষে ঢুকে গোপনে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার সদত্তোর দিতে পারেননি। উল্টো তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বলেন; আমি এখানকার ডিসি, আমি কারো প্রশ্নের জবাব দিব না। আপনারা যা পারেন করেন। পরে উৎসুক জনতা তেঁতে উঠে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন, এবং জন সাধারনদের মাদ্রাসা গেটের বাইরে পাঠিয়ে দেন। তখন প্রিন্সিপাল নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করে রাখেন।

এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অত্র মাদ্রসার অধ্যক্ষ ১৪ জানুয়ারি মাদ্রাসায় গোপন ভাবে নিয়োগ পরিক্ষা নেয়ার জন্য পায়তারা করেছেন, সে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন তাদের পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আবার শুনেছি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সে বিষয় নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ব্যানার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

ব্যানারে লেখা ছিল; “বনচাকী ফাযিল মাদ্রাসা ও অধ্যক্ষের উপরে সন্তাসীদের কতৃক বর্বরোচিত হামলা এবং কোরআন ও হাদিস অবমাননার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ”

কখন কোরআন হাদিসের অবমাননা করা হলো বুঝতে পারছিনা। নাকি অধ্যক্ষ পরিস্কার পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের ন্যায় নিজে বা কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শান্ত পরিবেশকে উসকানি মূলকভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করার পায়তারা করছেন।

মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মানববন্ধন করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেননি।অথবা লিখিত বা মৌখিক ভাবে জানাইনি। আপনার মাধ্যমে সবেমাত্র জানতে পারলাম। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মাদ্রাসার কোন বিষয়ে কেউ আমাদের কিছু বলেননি। তাই আমি কিছু জানিনা।মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিত্তাফুর রহমানের ফোনে কল করলে কল কেটে দেয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অধ্যক্ষ জিয়াউল কাইয়ূম এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কোরআন হাদিস অবমাননা ও হামলার বিষয়ে মুখ খুলতে চাননা। তবে মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মানববন্ধন করা নীতিগত দিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অন্যায় করলে কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে কোন সমস্যা নাই।মাদ্রাসায় আসেন কথা হবে। এই বলে ফোন রেখে দেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস

error: Content is protected !!

মাদ্রাসার শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত রেখে মানববন্ধন করার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বাইখীর বনচাকী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখে ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন করারা অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল শোয়াদশটায় মাদ্রাসার মূল গেটে মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি মাদ্রাসায় ২টি পদে নিয়োগ পরিক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ ছিল কাউকে না জানিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল কাইয়ুম গোপনে ২টি পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছিলেন বলে জানা গেছে । স্থানীয় লোকজন সেটা টেরপেয়ে পরিক্ষা শুরুর আগে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারের কক্ষে ঢুকে গোপনে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার সদত্তোর দিতে পারেননি। উল্টো তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বলেন; আমি এখানকার ডিসি, আমি কারো প্রশ্নের জবাব দিব না। আপনারা যা পারেন করেন। পরে উৎসুক জনতা তেঁতে উঠে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন, এবং জন সাধারনদের মাদ্রাসা গেটের বাইরে পাঠিয়ে দেন। তখন প্রিন্সিপাল নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করে রাখেন।

এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অত্র মাদ্রসার অধ্যক্ষ ১৪ জানুয়ারি মাদ্রাসায় গোপন ভাবে নিয়োগ পরিক্ষা নেয়ার জন্য পায়তারা করেছেন, সে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন তাদের পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আবার শুনেছি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সে বিষয় নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ব্যানার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

ব্যানারে লেখা ছিল; “বনচাকী ফাযিল মাদ্রাসা ও অধ্যক্ষের উপরে সন্তাসীদের কতৃক বর্বরোচিত হামলা এবং কোরআন ও হাদিস অবমাননার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ”

কখন কোরআন হাদিসের অবমাননা করা হলো বুঝতে পারছিনা। নাকি অধ্যক্ষ পরিস্কার পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের ন্যায় নিজে বা কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শান্ত পরিবেশকে উসকানি মূলকভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করার পায়তারা করছেন।

মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মানববন্ধন করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেননি।অথবা লিখিত বা মৌখিক ভাবে জানাইনি। আপনার মাধ্যমে সবেমাত্র জানতে পারলাম। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মাদ্রাসার কোন বিষয়ে কেউ আমাদের কিছু বলেননি। তাই আমি কিছু জানিনা।মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিত্তাফুর রহমানের ফোনে কল করলে কল কেটে দেয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অধ্যক্ষ জিয়াউল কাইয়ূম এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কোরআন হাদিস অবমাননা ও হামলার বিষয়ে মুখ খুলতে চাননা। তবে মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মানববন্ধন করা নীতিগত দিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অন্যায় করলে কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে কোন সমস্যা নাই।মাদ্রাসায় আসেন কথা হবে। এই বলে ফোন রেখে দেন।