লেনদেন খরা থেকে বেরিয়ে চাঙা হয়ে উঠছে শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসছেন বাজারে। গত কয়েক মাসের ব্যাপক দরপতনের পর লেনদেন-সূচক ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে। দুই দিন ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের হার ৪০০ কোটির ওপরে উঠেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে সবাইকে আস্থা ধরে রাখতে হবে। আস্থা রাখলে সবাই ভালো রিটার্ন পাবেন। যার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে। বাজার ধীরে ধীরে চাঙা হয়ে উঠবে। বাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারে এখনো বিনিয়োগের খুব ভালো সময়। বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের আস্থাহীনতায় ভুগছেন। তবে এখন পরিস্থিতি সম্ভবত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আস্থা রাখলে বাজার থেকে সবাই ভালো মুনাফা করতে পারবেন। বাজারে লেনদেন বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তার কারণে। যা খুবই ইতিবাচক দিক।
লেনদেন পরিস্থিতিতে দেখা যায়, গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির। আর ১৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের দিন মঙ্গলবার লেনদেন হয় ৪৬২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে প্রায় এক মাস বা গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরের পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।
|
সেখানে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। শেয়ার দর ৪ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে ১২৪ টাকা ৪০ পয়সায় শেষ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রিন্ট