ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ সাহস যেন আর কেউ না পায়: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

-পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। - ছবিঃ সংগৃহীত।

কেউ যাতে ‘অগ্নি-সন্ত্রাসের’ পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “সতর্ক থাকুন যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।”

বাবস জানায়, পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার নিজের কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে, জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।

“কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি, সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।”

দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের নানা রকম চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করে সরকারপ্রধান বলেন, “আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানব সৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি সন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য, যেখানে পুলিশ সদস্যদের নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি।

“কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নি সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

আইনশৃঙ্খলাকে একটি দেশের জন্য ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সেই আইন-শৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে।

“এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে, কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও সরকার করে দিয়েছে।”

অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ সাহস যেন আর কেউ না পায়: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

কেউ যাতে ‘অগ্নি-সন্ত্রাসের’ পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “সতর্ক থাকুন যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।”

বাবস জানায়, পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার নিজের কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে, জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।

“কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি, সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।”

দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের নানা রকম চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করে সরকারপ্রধান বলেন, “আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানব সৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি সন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য, যেখানে পুলিশ সদস্যদের নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি।

“কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নি সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

আইনশৃঙ্খলাকে একটি দেশের জন্য ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সেই আইন-শৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে।

“এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে, কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও সরকার করে দিয়েছে।”

অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।