ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সুমা খাতুন নামের এক মহিলা প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রী সেজে এক কাঠ ব্যবসায়ীর টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী আক্তার শেখ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী কথিত স্ত্রীসহ ৪ প্রতারক চক্রের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যরা হলেন; খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনি মহলের মৃত মহিউদ্দিন ভূইয়ার মেয়ে কথিত স্ত্রী মোসাঃ সুমা খাতুন (৪৮), মধুখালী উপজেলার শিতারামপুর গ্রামের মৃত কাদের শেখের ছেলে ওবাইদুর শেখ (৫৩), মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ধুমাইল গ্রামের ইমারত সরদারের ছেলে মো. লিটন (৫২), দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৫)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী আক্তার শেখের সাথে আসামীর মধ্যে ৫জন কাঠের ব্যবসার সুত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সম্পর্কের সুযোগে ওই আসামীরা মিলে আক্তার শেখের সাথে সুমা খাতুন নামের ওই প্রতারক মহিলাকে ২০২১ সালের ১৩ মার্চ জোরপূর্বক কোর্টম্যারেজের মাধ্যমে বিবাহ করতে বাধ্য করান। বিবাহের ৭ মাস ধরে ঘর সংসার করে আসলেও বাকি আসামীদের কু-পরামর্শে কথিত স্ত্রী কাঠ ব্যবসায়ীর ঘর নির্মাণের জমানো ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৬ আনা ওজনের একজোড়া কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায়।
কাঠ ব্যবসায়ীর কথিত স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালানোর সাথে সাথে থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ার কথা জানতে পেরে বাকি আসামীরা কৌশলে মিটমাট করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়।
কাঠ ব্যবসায়ী আক্তার শেখের কথিত স্ত্রী টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে গেল। কাঠ ব্যবসায়ী আসামীদের ফোন করে টাকা ও স্বর্ণালংকারের কথা বলতে গেলে আসামীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয়।
এমনকি এ ফোন করার পরে প্রতারক চক্রের সদ্যরা কাঠ ব্যবসায়ীকে র্যাব বা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার হুমকি দেন বলে জানান ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী আক্তার শেখ।
আক্তার শেখ অভিযোগ করে আরও বলেন, এ প্রতারক চক্রের সদস্যদের খপ্পরে পড়ে আমি আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। এ প্রতারক চক্রের সদস্যদের কবলে আমার মতো যেন কেউ না পড়ে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে সহজ সরল মানুষদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচান।
|
বোয়ালমারী থানার সহকারি-উপপরিদর্শক মো. মারুফ সিকদার বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট