ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে সাফল্য চাষীদের

পদ্মায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শীতকালীন ফসল উৎপাদনের আগে মধ্যবর্তী সময়ে মাসকলাই চাষ করে থাকেন চাষীরা। নদী বিধৌত পদ্মার চরে মাসকলাই চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষীরা।

ফলন ভাল হওয়ায় কাটা মাড়াই শেষে ডাল জাতীয় এ ফসল ঘরেও তুলেছেন তারা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে অর্থকরী এ ফসল চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরেছে দরিদ্র চরবাসীদের। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছিল।

এরমধ্যে নদী বেষ্টিত পদ্মার চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে। মাসকলাই চাষে চাষীদের বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে গড়ে মাত্র ৪ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে বিঘাপ্রতি ৩ মন থেকে ৪ মন পর্যন্ত। উৎপাদন খরচ বিহীন ও বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের লাভ হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের চাষী সোহেল আহমেদ জানান, এবছর সে ৩ বিঘা জমিতে মাস কলাই চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ৪ মন হারে ফলন হয়েছে তার। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভাল লাভ হয়েছে। তবে তিনি বেশি দামের আশায় প্রায় অর্ধেক কলাই সংরক্ষণও করেছেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষকের ক্ষেত থেকে পরিপক্ক মাসকলাই গরু বা মহিষের গাড়িতে করে কৃষকের খোলায় পৌঁছে দিয়েও বাড়তি আয় করছেন কৃষকরা। আবার চাষীদের কাছ থেকে মাসকলাই ক্রয় করে খুচরা বাজারে ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন কথা জানিয়েছেন বোরহান আলী নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী।

কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় প্রণাদনা দেওয়ায় এবছরও মাসকলাইয়ের ভাল ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম। অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকরী ফসল মাসকলাই সহ সবধরণের ফসল চাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা পেলে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়বে বলে জানিয়েছে চরবাসী।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে সাফল্য চাষীদের

আপডেট টাইম : ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :
পদ্মায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শীতকালীন ফসল উৎপাদনের আগে মধ্যবর্তী সময়ে মাসকলাই চাষ করে থাকেন চাষীরা। নদী বিধৌত পদ্মার চরে মাসকলাই চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষীরা।

ফলন ভাল হওয়ায় কাটা মাড়াই শেষে ডাল জাতীয় এ ফসল ঘরেও তুলেছেন তারা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে অর্থকরী এ ফসল চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরেছে দরিদ্র চরবাসীদের। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছিল।

এরমধ্যে নদী বেষ্টিত পদ্মার চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে। মাসকলাই চাষে চাষীদের বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে গড়ে মাত্র ৪ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে বিঘাপ্রতি ৩ মন থেকে ৪ মন পর্যন্ত। উৎপাদন খরচ বিহীন ও বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের লাভ হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের চাষী সোহেল আহমেদ জানান, এবছর সে ৩ বিঘা জমিতে মাস কলাই চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ৪ মন হারে ফলন হয়েছে তার। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভাল লাভ হয়েছে। তবে তিনি বেশি দামের আশায় প্রায় অর্ধেক কলাই সংরক্ষণও করেছেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষকের ক্ষেত থেকে পরিপক্ক মাসকলাই গরু বা মহিষের গাড়িতে করে কৃষকের খোলায় পৌঁছে দিয়েও বাড়তি আয় করছেন কৃষকরা। আবার চাষীদের কাছ থেকে মাসকলাই ক্রয় করে খুচরা বাজারে ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন কথা জানিয়েছেন বোরহান আলী নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী।

কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় প্রণাদনা দেওয়ায় এবছরও মাসকলাইয়ের ভাল ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম। অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকরী ফসল মাসকলাই সহ সবধরণের ফসল চাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা পেলে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়বে বলে জানিয়েছে চরবাসী।

প্রিন্ট