ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফরিদপুর জেলাধীন বিভিন্ন বণিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ভোট দিলেন অভিজিৎ দত্ত স্কুলের পুকুর ইজারা না দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে নড়াইলে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ৪,৩৭,০০০ টাকা জরিমানা ও যানবাহন আটক নড়াইলে পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ চিহ্নিত ও পেশাদার মাদক কারবারি আটক কোটালীপাড়ায় জমি বিক্রির নামে প্রবাসীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ কুষ্টিয়া মহাসড়কে আলহাজ্ব পরিবহনে বিজিবির অভিযান, হেরোইন উদ্ধার সাংবাদিক পুত্র মমোশ্বাদ ট্যালেন্টপুলে স্কলারশীপ পেয়েছেন রাজনগরে ৭ জুয়াড়ী গ্রেফতার ফরিদপুর জেলা ডিবি পুলিশ কর্তৃক ইয়াবাসহ একজন মাদকব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

মাতৃভাষায় বই আছে, নেই প্রশিক্ষিত শিক্ষক

শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৯ সালে এ পাঠ্যক্রম প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হলেও প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কটে আলোর মুখ দেখছে না মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম। ফলে সরকারের এ প্রশংসনীয় উদ্যোগটির কোনো সুফল পাচ্ছে না ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ২০১৭ সালে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হলেও খাগড়াছড়িতে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ না থাকায় এ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে টানা তৃতীয়বারের মতো খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। স্ব-স্ব মাতৃভাষার বই পেয়ে শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত। কিন্তু শিক্ষক সঙ্কটে বঞ্চিত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর খাগড়াছড়ির ৭০৫টি বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রণীত বই বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিন স্ব-স্ব মাতৃভাষায় রচিত বই হাতে পেলেও প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় পাঠদান কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অনেকে।

শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কটের ফলে এ শিক্ষা কার্যক্রম শিশুদের জন্য বোঝা হতে পারে।

প্রশিক্ষণ না থাকায় মাতৃভাষায় পাঠদান শুরু যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঠাকুরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সায়েভাই অং চৌধুরী।

অন্যদিকে মাতৃভাষায় পাঠদানে শিক্ষক সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন খাগড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশাপ্রিয় ত্রিপুরা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মতে, মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কট নিরসন করা না হলে বড় ধরনের ঘাটতি থেকেই যাবে।

এদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় রচিত বই বিতরণ সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ মন্তব্য করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) লেখক প্যানেল (ককরবক ভাষার) দলনেতা মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা মনে করেন, এ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। পিটিআই বা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন তিনি।

গেল বছর থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করার কথা থাকলেও পিইডিপি-৩ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে থাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, পিইডিপি-৪ থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চলতি বছর প্রশিক্ষণের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tag :

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুর জেলাধীন বিভিন্ন বণিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

মাতৃভাষায় বই আছে, নেই প্রশিক্ষিত শিক্ষক

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৯ সালে এ পাঠ্যক্রম প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হলেও প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কটে আলোর মুখ দেখছে না মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম। ফলে সরকারের এ প্রশংসনীয় উদ্যোগটির কোনো সুফল পাচ্ছে না ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ২০১৭ সালে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হলেও খাগড়াছড়িতে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ না থাকায় এ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে টানা তৃতীয়বারের মতো খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। স্ব-স্ব মাতৃভাষার বই পেয়ে শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত। কিন্তু শিক্ষক সঙ্কটে বঞ্চিত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর খাগড়াছড়ির ৭০৫টি বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রণীত বই বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিন স্ব-স্ব মাতৃভাষায় রচিত বই হাতে পেলেও প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় পাঠদান কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অনেকে।

শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কটের ফলে এ শিক্ষা কার্যক্রম শিশুদের জন্য বোঝা হতে পারে।

প্রশিক্ষণ না থাকায় মাতৃভাষায় পাঠদান শুরু যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঠাকুরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সায়েভাই অং চৌধুরী।

অন্যদিকে মাতৃভাষায় পাঠদানে শিক্ষক সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন খাগড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশাপ্রিয় ত্রিপুরা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মতে, মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষিত শিক্ষক সঙ্কট নিরসন করা না হলে বড় ধরনের ঘাটতি থেকেই যাবে।

এদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় রচিত বই বিতরণ সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ মন্তব্য করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) লেখক প্যানেল (ককরবক ভাষার) দলনেতা মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা মনে করেন, এ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। পিটিআই বা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন তিনি।

গেল বছর থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করার কথা থাকলেও পিইডিপি-৩ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে থাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, পিইডিপি-৪ থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চলতি বছর প্রশিক্ষণের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।