২০১৪ সালে একমাত্র সন্তান ফয়সাল হাসানকে মায়ের কাছে রেখে ২৫ বছর বয়সে জীবিকার সন্ধানে লেবানন পাড়ি জমান রুপা।
আর এসময়ের মধ্যে তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করে নতুন সংসার বাধেন। অন্যদিকে বিদেশ বিভুইয়ে ভালো কাজ না পেয়ে দেড় বছর পর রুপা দেশে ফিরে আসেন। তবে এসময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
কাউকে কিছু না বলে মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যেতেন আত্মীয়-স্বজনের কাছে। আবার ফিরেও আসতেন। তবে গত অক্টোবর মাসে এভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে আজ অব্দি আর ফিরে আসেননি। একারণে রুপার বিধবা মা আনােয়ারা বেগমের (৬১) কান্না যেনো থামছেই না। অশ্রুসজল নয়নে তিনি নিরুদ্দেশ মেয়ের সন্ধান জানতে সাংবাদিকদের সহায়তা চান।
গত ২৬ নভেম্বর চরভদ্রাসন থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। জিডি নং ৯৬৮।
চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আলমনগরের মধু শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্যার মেয়ে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রুপা বড়। ছােট ভাই শফিকুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাবা থাকতেও নেই রুপার ছেলে ফয়সালের। নানীর কাছেই বড় হচ্ছে সে। এখন তার বয়স ১৫। মাকে না পেয়ে সেও ভালো নেই। মানসিক সুস্থতা না থাকলেও মাকে ফিরে পেতে চায় সে।
মধু শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের রহমত শেখ (২৯) বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর তারা রুপার অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। আবার মাঝেমধ্যে তিনি মানসিক সুস্থ্য-স্বাভাবিক আচরণ করতেন। ওই ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য কামরুল হাসান রুপার হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুপাকে খুজ পেতে তিনি সকলের সহযােগিতা কামনা করেন।
প্রিন্ট