মাগুরা সদর উপজেলায় অবস্থিত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়, মাগুরা এর প্রধান অফিসে ৪৬ বছর বয়সী পুরাতন নীল জিপ গাড়ি চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর সকাল ৯.৩০ টার সময় মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস কার্যালয়ের নিচে রাখা অতি পুরাতন মডেলের নীল জিপ গাড়িটি রাখা আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৭৬ সালের মডেলের বিশ্ব বিখ্যাত জাপানি কোম্পানি টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার ঢাকা-ঘ ৪৬১৭ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর নীল গাড়িটি রাখা আছে।
গাড়ি রাখার স্থানে পড়ে আছে ইঞ্জিন থেকে বেরিয়ে আসা গাড়ির পুড়া মবিল, দেখে মনে হয় যে কোন সময় এই গাড়িটি রাস্তায় চলমান অবস্থায় অকেজো এবং সেই সাথে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা।
মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের গাড়ি চালক বিভাকর মুখার্জীর কাছে নীল রঙের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীল রঙের টয়োটা গাড়িটি ১৯৭৬ সাল মডেলের।
সম্ভবত ২০১৩ সালে সাবেক মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসিফুড) সেলিমউল আজম মহোদয় কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অব্যবহৃত ফেলে রাখা এই ৪ সিলিন্ডার ক্যাপাসিটির ফোরহুইল জীপ গাড়িটি মাগুরায় নিয়ে আসেন।
তার কাছে গাড়ির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে আরও বলেন, নীল রঙের টয়োটা গাড়ির ইঞ্জিন থেকে প্রতিনিয়ত মবিল পড়ে আর এর কারণ প্রতি সপ্তাহে ২ বার ইঞ্জিনে নিয়মিত পরিমাণ মতো মবিল ভরতে হয়। গাড়ির সামনের সাসপেনশান অবস্থা খুবই খারাপ, চাকার ব্রেক দূর্বল, গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ বেশির ভাগ সময় পাওয়া যায় না মার্কেটে, ইঞ্জিনে জ্বালানি ফুয়েল ডিজেল ও মবিল তেল বেশি খায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মবিল ও তেল পড়ে, এছাড়াও রাস্তায় গাড়ি চলার সময় গড়গড় করে বিকট শব্দ হয় মনে হয় যেন গাড়ির চাকা ও ডির্ফান্সিয়াল ভেঙ্গে চুরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটবে।
বাংলাদেশ বিআরটিএ আইনে আছে ২০ বছর পার হয়ে গেলে গাড়ী ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায় কিন্তু এই গাড়ির বয়স প্রায় ৪ যুগ বা ৪৬ বছরের। গাড়ির এই বিষয়ে মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মনোতোষ কুমার মজুমদার দৈনিক সমাজের কথা কে বলেন, গাড়িটি অকেজো হওয়া সত্ত্বেও কোনরকম জোড়া তালি দিয়ে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু সঠিক সময়ে গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সময়মত কার্য পরিচালনা ব্যাহত হয়।
তাই দীর্ঘ দিনের ব্যবহারিত নীল রঙের টয়োটা গাড়ির পরিবর্তন করে নতুন মডেলের গাড়ি মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।
প্রিন্ট