বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন আজ সোমবার বেলা ১১ টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ হতে অনুমোদিত আংশিক কমিটি থেকে অবৈধভাবে চারজন কে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে এবং বিবাহিত বিদেশ গমন বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রতিবাদে এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৮ নং সহ সভাপতি অমিয় সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সদ্য গঠিত ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগে বিবাহিত মাদক ব্যবসায়ী কাউন্সিলর প্রার্থী স্কুল ও ছাত্র প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। বর্তমান সভাপতি তার স্বেচ্ছাচারীদের কারণে এবং ছাত্রলীগে পকেটে রাখার জন্য ১৯ শে নভেম্বর ২০২১ তারিখে ২৫ জন ছাত্রলীগের কমিটির দুজন সহ সভাপতি , দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক কে অবৈধভাবে বাদ দেয়া হয়েছে । যা একেবারেই তিনি পারেন না। বক্তারা বলেন আপনার ইতিমধ্যে দেখেছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ১৯শে জানুয়ারি২০২১ এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় ৯ নভেম্বর ২০২২। নয় নভেম্বর তারিখে এই কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দেওয়া গত অংশে কমিটি থেকে চারজনকে বাদ দেয়া হয় । এরা হচ্ছেন এক নং সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান, ৮ নং সহ সভাপতি অমিয় সরকার, ২ নং সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব শেখ, চার নং সংগঠনিক সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিক।
এদেরকে বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে উক্ত চারজনের নাম বাদ দিয়ে যে কমিটি প্রকাশ করে তার সম্পূর্ণ সংগঠন বহিত কাজ তাছাড়া এই কমিটিতে রয়েছে বিবাহিত সহ-সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী সাবেক শহর আওয়ামী লীগের নেতা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী, বিদেশগামী ও স্কুল ছাত্রদের নিয়ে কমিটি প্রকাশ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়।
তারা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এর কার্যক্রমের প্রতিবাদ এবং বহিষ্কার দাবি করেন এবং বিতর্কিত কমিটি স্থগিত করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশিকুর রহমান বিপ্লব সাবেক সভাপতি কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগ, রাজিব শেখ সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাদিকুর রহমান জেলা কমিটির সাবেক সদ্য সাবেক সহ সভাপতি , আশিকুর রহমান আশিক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, রাকিবুল ইসলাম রাসেল সাবেক ছাত্রভিত্তিক সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগ।
পরে ছাত্রলীগের বিতর্কিত ছাত্র নেতাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।
প্রিন্ট