ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে বিজিবির ফাঁকা গুলি, ১০টি মহিষ আটক Logo প্রয়াত বুড়ি মা’র তিরোধান বার্ষিকী স্মরণে দৌলতপুরের আনন্দ ধামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধুসঙ্গ Logo নাটোরে গরম পানি দিয়ে ঝলসানো নারীর সিএমএইচে চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সেনাবাহিনী Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

ফরিদপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন তার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ছয়টা মামলা দায়ের করা হয়। তার সবকটিতে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ৩২/২১মামলায় গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর রোববার ফরিদপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি আমাকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে এলাকা ভালো রাখবেন। কোন প্রকার ঝামেলায় কেউ জড়াবেন না। কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে পুলিশকে জানাবেন। আমি সব সময় সালথা উপজেলাবাসীর শান্তি চাই।

প্রসঙ্গত, ০৯ জুলাই ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের স্ত্রী জয়গুন বেগম। সেই মামলায় গত ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওই সময় আদালতের বিচারক তরুন বাছাড় জামিন নামঞ্জুর করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ সালথার সহিংস তান্ডব মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেখানে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ওয়াদুদ মাতুব্বর। কয়েক দফা ফরিদপুর জর্জ কোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন নামঞ্জুর হয় তার। তবে গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ১৩ নভেম্বর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর

error: Content is protected !!

কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
এফ.ম আজিজুর রহমান :

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

ফরিদপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন তার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ছয়টা মামলা দায়ের করা হয়। তার সবকটিতে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ৩২/২১মামলায় গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর রোববার ফরিদপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি আমাকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে এলাকা ভালো রাখবেন। কোন প্রকার ঝামেলায় কেউ জড়াবেন না। কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে পুলিশকে জানাবেন। আমি সব সময় সালথা উপজেলাবাসীর শান্তি চাই।

প্রসঙ্গত, ০৯ জুলাই ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের স্ত্রী জয়গুন বেগম। সেই মামলায় গত ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওই সময় আদালতের বিচারক তরুন বাছাড় জামিন নামঞ্জুর করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ সালথার সহিংস তান্ডব মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেখানে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ওয়াদুদ মাতুব্বর। কয়েক দফা ফরিদপুর জর্জ কোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন নামঞ্জুর হয় তার। তবে গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ১৩ নভেম্বর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।

 


প্রিন্ট