মাগুরা শালিখা উপজেলার শালিখা ইউনিয়নের দক্ষিণ শরুশুনা দাখিল মাদরাসা সুপার আলী হাসানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলায় বাদী হয়েছেন ৪ জন, আসামী করা হয়েছে মাদরাসা সুপারসহ ৪ জনকে।
মামলা নং মাগুরার শালিখা সহকারি জজ আদালত ও সি ২৭৩/২০২২। বাদী পক্ষের অভিযোগ দক্ষিণ শরুশুনা মাদরাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটি পরবর্তিতে এমপিও ভুক্তি হয় এবং প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অর্থাৎ বাদীগন ১ ও ২ গণ ০১/০১/২০০০ সালে সহকারি শিক্ষক বিপিএড এবং বাদী ৩ ও ৪ গণ ২৭/১২/২০০০ সালে বিভিন্ন ট্রেডে চাকুরী করিয়া আসিতেছিলেন। তবে ১৯৭৯ সালের নীতিমালা বহির্ভুত কোন কাজ করেননি বা কোন দিন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নোটিশ দেননি।
১নং বিবাদী মাদরাসা সুপার মোঃ আলী হাসান অত্যান্ত সুচতুর কৌশুলী অপর পক্ষে ২ নং বিবাদী একজন মাদরাসা কমিটির সভাপতি বটে। বাদী পক্ষকে কোন নোটিশ প্রদান করেন নাই গত ৯/২/২০১০ তারিখে বেতন শীট করা হয়, ১নং বিবাদীকে ভুল বুঝিয়ে ৩০/৭/২০২২ সালে শিক্ষক কর্মচারী নাম দর্শাইয়া ঢাকায় (অভিনয়) নামসর্বস্ব প্রেরন করেন এবং ৩নং বিবাদীকেও ভুল বুঝিয়ে ৩০/৭/২০২২ সালে ভুয়া ওয়েড তঞ্চকী বে-আইনী কৃত্তিম এন্টোভেটের অবগত হইলে আদালতে মামলা রজ্জু করেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ শরুশুনা দাখিল মাদরাসার সভাপতি হাশেম আলী একান্ত সাক্ষাতে জানান, আমি একজন প্রবীন চিকিৎসক, ২০১১ সাল থেকে তিনি এডহক কমিটিতে আছেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানান, কোন অন্যায় আমার সময়ে নাই তবে তিনি সব দোষ ও জালিয়াতির মূলহোতা দক্ষিণ শরুশুনা মাদরাসার সুপার আলী হাসানকে দায়ী করেন। তার কাছে মাদরাসা সুপার বেতন শীটের জন্য সই নিতে গেলে তাতে সই দেয়নি। এ নিয়ে সুপারের সংগে বাক বিতন্ডা হয়েছে। তবে সুপার আলী হাসান ৪/৫টি সাদা কাগজের পেজে সাক্ষর নিয়েছেন বলে জানান সভাপতি হাশেম আলী। তবে তিনি বেতন শীটের সভাপতির সাক্ষর সই জালিয়াতির ব্যাপারে সন্দেহ হইলে গত ১০/১০/২০২২ তারিখে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে কোর্টে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাগুরা শালিখা উপজেলার শালিখা ইউনিয়নের দক্ষিণ শরুশুনা দাখিল মাদরাসার সুপার আলী হাসানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ দিবেন না এবং যা খুশি তাই করতে বলেন।
এ বিষয়ে মাগুরা শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, দক্ষিণ শরুশুনা দাখিল মাদরাসার বিষয়টি নিয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি তার কাছে। তবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেলে অবশ্যই দোষী, জালিয়াতি ও অন্যায়কারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট