ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের ভ্যান চালক জনু মোল্যার তিনটি ঘর ভেঙে তছনছ হয়েছে প্রতিবেশীর রেইনট্রি গাছের চাপায়। গত সোমবার রাতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাÐবে ওই রেইনট্রি গাছ ভেঙে ঘরের উপর পরে তছনছ হয়েছে তিনটি ঘর এসময় অল্পের জন্য তাদের জীবন রক্ষা পায়।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী সোহেল মোল্যার বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভ্যান চালক জনু মোল্যা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোহেল মোল্যার রেইনট্রি গাছের ডাল জনু মোল্যার বাড়ির ওপর ঝুলে থাকলে ওই গাছের ডাল কাটতে বললে তালবাহানা শুরু করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁলে থাকা ডালের নিচে বসত করতে হয়। গত সোমবার রাতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ওই গাছ ভেঙে তিনটি ঘর তছনছ হয়ে যায়। এতে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
জনুর মা রুব্বান বেগম জানান, আমরা গরীব মানুষ আমাদের এই ভিটের ৬ শতাংশ জমি ছাড়া মাঠে কোনো জমি নেই। আমাদের এই ভিটে আর ভ্যান টুকুই সম্বল। আমাদের বাড়ির ওপর সোহেলের গাছ ডাল আসায় অনেক বার ডাল কাটার কথা বলেছি তারা ডাল কাটেনি। ঝড়ের রাতে গাছের চাপায় আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যায়। শুধু জীবন নিয়ে বেঁচে আছি। আমরা সমাজে গরীব বলে আমাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। আমি দিন আনি দিন খাই ঘর মেরামত করতে অনেক টাকার দরকার এই টাকা আমরা কোথায় পাবো।
সরেজমিন প্রবাসী সোহেল মোল্যার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী মাবিয়া বেগম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাছ পড়ে ঘর ভেঙেছে এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমাদের কখনো গাছ কাটার কথা বলেনি। ঝড়ে পড়া গাছ ৬ হাজার টাকা বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা দিয়েছি ঘর মেরামত করার জন্য তারা সে টাকা ফেরৎ দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কালু ফকির জানান, ঝড়ে গাছ পড়ে জনু মোল্যার ঘর ভেঙেছে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় ভাবে বসে একটি সমাধারণ করার ব্যবস্থা করা হবে।
টগরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আচ্ছাদুজ্জামান জানান, দুই পক্ষের সাথে কথা বলে মিমাংসা করার ব্যবস্থা করা হবে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সতত্যা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক।
প্রিন্ট