পাবনার ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত আরেফিন ইসলাম আরিফুল নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজন। নিহতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জুমাইনগর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে ও নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন (২৪), একই ইউনিয়নের দেবোত্তর গ্রামের জুমাইনগর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরেফিন ইসলাম আরিফুল (২৬) এবং একই ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসতিয়াক আহমেদ (২৫)।
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেফিন ইসলাম আরিফুল। এর আগে রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুষ্টিয়া-নাটোর মহাসড়কের সলিমপুরের মিরকামারির মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মৌসুমী পরিবহনের বাসটি কুষ্টিয়া থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। অপরদিকে মোটরসাইকেল আরোহীরা কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের সামনা সামনি ধাক্কায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক জন মারা যান।
পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিস কুমার সান্যাল বলেন, রোববার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আরিফুলের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌসুমী পরিবহনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট