সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। ইতিমধ্যে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ আসনটিতে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলের নাম আলোচনায় এসেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেকেই মনোনয়ন পেতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আবার অনেকেই এলাকায় গ্রুপিং করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন। ১১ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যান। ১৩ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী ২০১২ সাল থেকে এলাকায় মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তবে ২০১৭ সালের দিকে সেই দায়িত্ব পান তাঁর ছোট ছেলে শাহদার আকবর লাবু চৌধুরী। লাবু চৌধুরীর দলীয় পদ না থাকলেও আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন।
রাজনীতির মাঠে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ভাইয়ের কর্মকান্ডে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর দলীয় মনোনয়ন পেতে আবারও মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন দু’ভাই। তবে দুই ভাই একসঙ্গে আছেন দাবি করেছেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
দুই ভাইয়ের বাইরেও দলীয় মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েকজন নেতা সক্রিয় রয়েছেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর (অবঃ)আ ত ম হালিম, তিনি চাকুরী জীবন শেষ করে এ আসনের সাধারণ জনগনের পাশে রয়েছেন।
দলীয় কর্মসুচী ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলো নিজ উদ্যোগে নিয়মিত ভাবে পালন করে আসছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারে বিভিন্ন সড়কে তার দেয়া বিলবোর্ড দেখা গেছে। এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ জামাল হোসেন মিয়া, তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির করে আসছেন। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের এজিএস ও জিএস নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি দির্ঘদিন প্রায়ত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএসের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সহিদ মিয়া তালমা ইউপির একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মা দেলোয়ারা বেগম ও তালমা ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়াও বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডো (অবঃ) কাজী দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক বিশিস্ট শিল্প উদ্যোক্তা কাজী আব্দুস সোবহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু ইউসুফ, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েলের এর নাম আলোচনায় রয়েছে।
প্রিন্ট