সেলিম সানোয়ার পলাশঃ
পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এতে উপকৃত হবেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৩০ হাজার কৃষক।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হতে ‘‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ইআইডিএল)’’ প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন গোদাগাড়ীর জোত গোসাইদাস সারাংপুর এলাকা হতে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২ পাম্প স্টেশন হয়ে দুধাই খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মি.মি. ডায়ার এইচডিপিই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়ন করছে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ঊওউখচ)’ নামের এ প্রকল্পটি।
প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের শুরুতে কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।
শিবির আহমেদ আরো বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।”
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমরা এখনো অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি। যদি পদ্মার পানি পাই, তাহলে অনেক কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন কৃষিবিদরা। কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার ফসল চাষ করতে পারবেন। ফলে তাদের আয় বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রিন্ট