ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আসামি গ্রেপ্তার Logo গরমে হাতিয়ায় শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়ল ৭ শিক্ষার্থী Logo বোয়ালমারীতে জোরপূর্বক বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও উচ্ছেদের অভিযোগ Logo বাগাতিপাড়ায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠিতে ঋণের টাকার জেরে গরু নিয়ে গেলেন বিএনপি নেতা, বাছুর কোলে আদালতে নারী Logo বিএমডিএ’র এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে Logo বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন আরও  ২৭ জন Logo চরভদ্রাসনে ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, জনদুর্ভোগ চরমে Logo মুকসুদপুরে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের ট্রাফিক আইনের প্রশিক্ষণ Logo পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাণিজ্যের কোটি টাকার অভিযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার পানিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক পাবে সেচ সুবিধা

বিএমডিএ’র এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এতে উপকৃত হবেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৩০ হাজার কৃষক।

 

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হতে ‘‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ইআইডিএল)’’ প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন গোদাগাড়ীর জোত গোসাইদাস সারাংপুর এলাকা হতে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২ পাম্প স্টেশন হয়ে দুধাই খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মি.মি. ডায়ার এইচডিপিই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়ন করছে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ঊওউখচ)’ নামের এ প্রকল্পটি।

 

প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের শুরুতে কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।

 

শিবির আহমেদ আরো বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।”

 

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমরা এখনো অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি। যদি পদ্মার পানি পাই, তাহলে অনেক কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।

 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন কৃষিবিদরা। কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার ফসল চাষ করতে পারবেন। ফলে তাদের আয় বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সদরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আসামি গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

পদ্মার পানিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক পাবে সেচ সুবিধা

বিএমডিএ’র এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এতে উপকৃত হবেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৩০ হাজার কৃষক।

 

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হতে ‘‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ইআইডিএল)’’ প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন গোদাগাড়ীর জোত গোসাইদাস সারাংপুর এলাকা হতে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২ পাম্প স্টেশন হয়ে দুধাই খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মি.মি. ডায়ার এইচডিপিই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়ন করছে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ঊওউখচ)’ নামের এ প্রকল্পটি।

 

প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের শুরুতে কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।

 

শিবির আহমেদ আরো বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।”

 

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমরা এখনো অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি। যদি পদ্মার পানি পাই, তাহলে অনেক কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।

 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন কৃষিবিদরা। কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার ফসল চাষ করতে পারবেন। ফলে তাদের আয় বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট