ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার পানিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক পাবে সেচ সুবিধা

বিএমডিএ’র এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এতে উপকৃত হবেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৩০ হাজার কৃষক।

 

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হতে ‘‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ইআইডিএল)’’ প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন গোদাগাড়ীর জোত গোসাইদাস সারাংপুর এলাকা হতে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২ পাম্প স্টেশন হয়ে দুধাই খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মি.মি. ডায়ার এইচডিপিই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়ন করছে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ঊওউখচ)’ নামের এ প্রকল্পটি।

 

প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের শুরুতে কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।

 

শিবির আহমেদ আরো বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।”

 

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমরা এখনো অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি। যদি পদ্মার পানি পাই, তাহলে অনেক কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।

 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন কৃষিবিদরা। কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার ফসল চাষ করতে পারবেন। ফলে তাদের আয় বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

পদ্মার পানিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক পাবে সেচ সুবিধা

বিএমডিএ’র এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এতে উপকৃত হবেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৩০ হাজার কৃষক।

 

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হতে ‘‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ইআইডিএল)’’ প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন গোদাগাড়ীর জোত গোসাইদাস সারাংপুর এলাকা হতে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২ পাম্প স্টেশন হয়ে দুধাই খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মি.মি. ডায়ার এইচডিপিই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়ন করছে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মানদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ (ঊওউখচ)’ নামের এ প্রকল্পটি।

 

প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের শুরুতে কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।

 

শিবির আহমেদ আরো বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।”

 

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমরা এখনো অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি। যদি পদ্মার পানি পাই, তাহলে অনেক কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।

 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন কৃষিবিদরা। কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার ফসল চাষ করতে পারবেন। ফলে তাদের আয় বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট