ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ধর্ষণ করেছিলেন স্বামী, ভিডিও করেছিলেন স্ত্রী

একটি ওয়ার্কশপে অংশ নিতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া জিনতা (ছদ্মনাম)। ওয়ার্কশপটি হচ্ছিল একটি কলেজে। সেখান থেকে ফেরার সময় কলেজের বাইরে আসতেই এক নারী এসে নিজেকে ছাত্রী পরিচয় দেন। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে পাশাপাশি হাঁটতে থাকেন। আচমকা একটি গাড়ি এসে তাঁদের সামনে থামে। এরপর ওই নারী ও গাড়ির চালক তাঁর স্বামী জোর করে ওই শিক্ষার্থীকে গাড়িতে তুলে নেন। নিয়ে যান তাঁদের বাড়িতে। এরপর সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি এবং তা ভিডিও করেন তাঁর স্ত্রী।

ঘটনাটি গত বছরের আগস্টের। পাকিস্তানের আল্লামা ইকবাল ওপেন ইউনিভার্সিটির এমএসসির শিক্ষার্থী এই তরুণী। তাঁকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গতকাল সোমবার রায় ঘোষণা করেন রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

রাওয়ালপিন্ডির অতিরিক্ত সেশন জজ জাহাঙ্গীর আলী গোন্ডাল মূল আসামি ৩৩ বছর বয়সী কাসিম জাহাঙ্গীরকে ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন।

অপহরণের দায়ে তাঁকে (কাসিম) আজীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট, ২০১৬ অনুযায়ী তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।

পাশাপাশি আদালত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ছাত্রীকে ১০ লাখ রুপি দিতে কাসিমকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে অপহরণের দায়ে কাসিমের স্ত্রী ২৪ বছরের কিরণ মেহমদুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট, ২০১৬ অনুযায়ী তাঁকেও তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।

পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডনকে বলেন, দণ্ডিত ওই ব্যক্তি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি ৪৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে যৌন হয়রানি এবং তাদের ছবি ও ভিডিও তৈরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ যখন ওই শিশু-কিশোরীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তখন কেউই সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। পুলিশ এসব ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সহায়তা চেয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ধর্ষণ করেছিলেন স্বামী, ভিডিও করেছিলেন স্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

একটি ওয়ার্কশপে অংশ নিতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া জিনতা (ছদ্মনাম)। ওয়ার্কশপটি হচ্ছিল একটি কলেজে। সেখান থেকে ফেরার সময় কলেজের বাইরে আসতেই এক নারী এসে নিজেকে ছাত্রী পরিচয় দেন। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে পাশাপাশি হাঁটতে থাকেন। আচমকা একটি গাড়ি এসে তাঁদের সামনে থামে। এরপর ওই নারী ও গাড়ির চালক তাঁর স্বামী জোর করে ওই শিক্ষার্থীকে গাড়িতে তুলে নেন। নিয়ে যান তাঁদের বাড়িতে। এরপর সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি এবং তা ভিডিও করেন তাঁর স্ত্রী।

ঘটনাটি গত বছরের আগস্টের। পাকিস্তানের আল্লামা ইকবাল ওপেন ইউনিভার্সিটির এমএসসির শিক্ষার্থী এই তরুণী। তাঁকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গতকাল সোমবার রায় ঘোষণা করেন রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

রাওয়ালপিন্ডির অতিরিক্ত সেশন জজ জাহাঙ্গীর আলী গোন্ডাল মূল আসামি ৩৩ বছর বয়সী কাসিম জাহাঙ্গীরকে ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন।

অপহরণের দায়ে তাঁকে (কাসিম) আজীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট, ২০১৬ অনুযায়ী তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।

পাশাপাশি আদালত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ছাত্রীকে ১০ লাখ রুপি দিতে কাসিমকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে অপহরণের দায়ে কাসিমের স্ত্রী ২৪ বছরের কিরণ মেহমদুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট, ২০১৬ অনুযায়ী তাঁকেও তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।

পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডনকে বলেন, দণ্ডিত ওই ব্যক্তি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি ৪৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে যৌন হয়রানি এবং তাদের ছবি ও ভিডিও তৈরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ যখন ওই শিশু-কিশোরীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তখন কেউই সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। পুলিশ এসব ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সহায়তা চেয়েছে।