আজকের নবীন, আগামীর প্রবীণ এই প্রতিপাদ্য শ্লোগানকে সামনে রেখে মাগুরায় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় মাগুরা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাগুরা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি ও সাবেক ডিপুটি কমিশনার নূরে এলাহীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা, মাগুরা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওশের আলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তত্ত্ব ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস ছাত্তার মিয়া, মাগুরার সাবেক মেয়র ইকবাল আক্তার খান কাফুর, কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু শিকদার, মাগুরা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বিলকিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সিনিয়র সিটিজেনদের জীবনমান উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর প্রবীণ দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। মাগুরাতে প্রবীণদের স্থায়ী ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রবীণদের জন্য যথেষ্ট সংবেদনশীল। তিনি প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক, বর্তমান বাংলাদেশে মোট আনুমানিক ১ কোটি ২০ লক্ষ প্রবীণ জনগোষ্ঠী রয়েছে।
তাদের জন্য প্রতিটি জেলা- উপজেলায় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মাধ্যমে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা হবে, যেখানে প্রবীণরা সময় কাটাতে পারে। ইকবাল আখতার খান কাফুর বলেন, উন্নত বিশ্বে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সরকার কর্তৃক থাকার ব্যবস্থা ও সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে কার্যত কিছুই নেই। বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মাধ্যমে সেই অভাব পূরণ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মাগুরা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সকল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আর অনুষ্ঠানের শেষে জ্ঞানের প্রতীক বই উপহার দেওয়া হয় অতিথি মহোদয় গণকে।
প্রিন্ট