জ্বালানী তেল, পরিবহন খাতে ভাড়া ও সকল পন্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত’র ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে বিএনপির বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে সাধুহাটী, মধুহাটী, সাগান্না, হলিধানী ও কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নেতাকর্মী ডাকবাংলা বাজারে জড়ো হতে থাকে। বিকালে মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আলাউদ্দীনের মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, এড মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আলমগীর হোসেন আলম, জিয়াউল ইসলাম ফিরোজ, আবুল বাশার বাশি, জাহিদ জোয়ারদার, সাইফুল ইসলাম, আলাউদ্দীন আল মামুন, শরিফুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুর রহমান কামাল, তুহিন আক্তার লাল ও আলফাজ উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যড এম এ মজিদ বলেন, জনতার উর্মি জেগে উঠেছে। ভারত ছাড়া হাসিনা সরকারের মন্ত্রী এমপিদের পালানোর পথ নেই।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ খেতে পারে না, আয় রোজগার নেই অথচ সরকারের মন্ত্রীরা জনগন নিয়ে তামাশা করে। তিনি বলেন, পুলিশ বাদে আ’লীগ নেতারা রাস্তায় নেমে দেখুক তাদের জনপ্রিয়তা কত। এদিকে বিএনপির মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডাকবাংলা ত্রীমোহনী এলাকায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ বিএনপি কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুনঃ সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
আ’লীগের লোকজন লগি বৈঠা নিয়ে হামলা চালালে সদর উপজেলার বাথপুকুর গ্রামের আব্দুস সালাম, জহিরুল ইসলাম, আলম, মধুহাটী ইউনিয়নের আবু তৈয়ব, নাসির উদ্দীন ও হলিধানীর আব্দুল হান্নান আহত হন বলে জেলা বিএনপির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। আহত নেতাকর্মীদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ডাকবাংলা ত্রীমোহনী এলাকায় পৌছালে হামলাকারীরা চলে যায়।
প্রিন্ট