বিনা বিচারে ঝিনাইদহ কারাগারে আটক থাকা প্রতিবন্ধি মৃণাল রায়ের মুক্তি মিলেছে।
৩২ মাস পর গতকাল সোমবার সকালে নিলফামারী থেকে তার মামা চিনেন্দ্র নাথ রায়সহ তার স্বজন ঝিনাইদহ সদর থানা জুডিসিয়াল আমলী আদালতে প্রমানাদি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই অন্তে কাগজ পত্র সঠিক আছে মর্মে নিশ্চিত হয়। আদালত থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয় মৃণাল রায়ের মুক্তির আদেশ। বিকালে জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পর কারা ফটকে মৃণাল রায় তার আত্মীয় স্বজনদের দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন নিরাপদ হেফাজতে থাকা প্রতিবন্ধি মৃণাল রায়কে আদালতের আদেশে মুক্তি দিয়ে তার মামার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মৃণাল তার মামাকে আনান্দে জড়িয়ে ধরেন। কারা ফটকে মামা ভাগ্নের এই মিলন দৃশ্য উপস্থিত সবার মাঝে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মৃনালের বাড়ি নিলফামারী সদর উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের দক্ষিন চাওড়া গ্রামে। মামা চিনেন্দ্র নাথ রায় জানান মৃণালের পিতা যতিন্দ্রনাথ রায় স্কুলের ইংরাজী শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুনঃ চাউলের পাইকারি দোকানে ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন এসআই মোঃ ইউনুস আলী গাজী ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ওই প্রতিবন্ধিকে স্থানীয় লোকজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে সেফ কাষ্টডির জন্য আদালতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আদালত আটক ব্যক্তির নাম পরিচয় উদ্ধারের জন্য জেলা কারাগার, জেলা নির্বাচন অফিস ও টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদেশ প্রদান করেন।
প্রিন্ট