ফরিদপুরের সদরপুরে পাট চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। আনাবৃষ্টিতে ক্ষেতের পাট ক্ষেতে শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছে না চাষীরা। কোন কোন স্থানে পুকুর জলাশয়ে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট জাগ দিলেও দু-তিন দিন পর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি বা বর্ষার পানির অভাবে পাট কেটে জমিতে ধান রোপন করতে পারছে না তারা । চাষীদের সারা বছরের পুঁজি খাটিয়ে পাট চাষ করলেও পাট কাটার মৌসুমে এসে পানির অভাবে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সদরপুর কৃষি অফিসার বিধান রায় জানান, চলতি বছরে সদরপুর উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ৯ শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জমিতে পাট হয়েছে মোটামুটি ভাল। শেষ মুহুর্তে পানির অভাবে চাষীরা পাট জাগ দিতে পারছে না।
তিনি আরও জানান, প্রতি মন পাটের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৫শ থেকে ২হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভাল মানের এক মন পাট বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩ হজার টাকা। পাটের বাজারমূল্যে চাষীরা লাভবান হলেও আবহাওয়া বিরুপ হওয়ায় চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুর বৃক্ষ মেলায় গ্রিনল্যান্ড নার্সারীর বনসাই বট গাছের মূল্য এক লক্ষ আশি হাজার টাকা
সদরপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর, শ্যামপুর, ৩২নং ডিক্রীরচর ও কৃষ্ণপুর এলাকার চাষীরা জানান, তারা ৫২শতাংশের ৩-৪ বিঘা করে জমিতে পাট চাষ করেছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে পুঁজি খাটিয়েছে। বর্তমানে পানির অভাবে সব পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
প্রিন্ট