ফরিদপুরের সালথায় ২ সন্তানের জননী সম্পর্কে চাচীকে নিয়ে উধাও হয়েছে প্রতিবেশী ইউপি সদস্য নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তি। প্রেমের টানে হাত ধরে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামের মৃতঃ সামাদ মোল্লার ছেলে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী প্রতিবেশী মৃত্যু মঈনউদ্দিনের ছেলে ইউপি সদস্য নুরুল আলমের সাথে প্রেমের টানে নিরুদ্দেশ হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী জাহিদুল ইসলাম (৪০) বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সালথা থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারন ডায়েরি করেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নুরুল আলমের সম্পর্কে চাচী লাবনী বেগম।এ সূত্রতায় দীর্ঘদিন ধরে জাহিদের বাড়িতে যাওয়া আসা করত নুরুল আলম। আমরা জানতে পেরেছি গতকাল রাতে নুরুল আলমের হাত ধরে জাহিদের স্ত্রী লাবলী পালিয়ে গেছে।
এদিকে ছোট ছোট দুটি কন্যা সন্তান রেখে মায়ের উধাও এর খবরে বড় মেয়ে মারিয়া আক্তার (৯) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৫) ভেঙ্গে পড়েছে। মেয়ে দুটি কে নিয়ে বিপাকে পড়েছে জাহিদুল।
জাহিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার যা কিছু ছিল তার সবকিছুই নিয়ে নুরুল আলমের সাথে চম্পট দিয়েছে জাহিদের স্ত্রী লাবনী। ঘরে নেই টাকা পয়সা, তার উপর ছোট কন্যার মায়ের শোকে অনাবর্ত কান্না, আর বড় মেয়ের অসহায় চাহনীর কাছে জাহিদুল একান্ত অসহায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আরও পড়ুনঃ সালথায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী লাবনী রাত দুইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থকে বের হয়। টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় আমি খুজতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার স্ত্রী টয়লেটে নাই, পরে আমার পরিবারের সকলে মিলে বাড়ির আশেপাশে খুঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাই নাই।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের মোঃ মোফাজ্জল খালাসির কন্যা লাবনী আক্তারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জাহিদুল ইসলামের বিবাহ হয়।
এ বিষয় সালথা থানার অফিসার এস আই আওলাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর স্বামী একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট