মাগুরা শালিখায় নৃতাত্বিক আদিবাসী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ৩ জুন সকাল ১০ টার সময় বাংলাদেশ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক কমিটি সচিবালয়-শালিখা, মাগুরা অফিসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি, রাজবংশী কল্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. শালিখা কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তব্য প্রদান করেন, সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক আদিবাসী বিষয়ক কমিটি ও সদস্য (সি আই পি) বাংলাদেশ, ডা. সুভাষ চন্দ্র রাজবংশী, সভাপতি মাগুরা জেলা আদিবাসী কমিটি অরুণ কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার মন্ডল, কার্যকারী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠান সঞ্চালক সুমন বিশ্বাস সহ সাংবাদিক ও আদিবাসীর সদস্য বৃন্দগণ। সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এনসিআইপি ডা. সুভাষ চন্দ্র রাজবংশী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জনশুমারী ও গৃহগননা ২০২২ চলতি মাসের ১৫ জুন-২১ জুন পর্যন্ত শুমারী কাজ চলবে।
বিশেষ করে রাজবংশী সম্প্রদায় ভুক্ত সকলকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি আপনারা জনশুমারী ও গৃহ গণনাকারী বাড়িতে গেলে আপনারা ফরমের ৩৮ নং সিরিয়াল ঘরে, রাজবংশী লেখাবেন এবং ফরমের ১১ নং কলামে লেখা আছে, শুমারী সদস্যগণ খানায় কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সদস্য আছে কি? হ্যা বলবেন। আর বাকি ঘরগুলি পূরণের জন্য গণনাকারীকে সবপ্রকার সহযোগিতা করবেন।
বিশেষ করে তিনি সুদৃষ্টি কামনা করেন সোনার বাংলার কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়, মাগুরা জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক ও শালিখা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের অফিসার এবং মাগুরা জেলা প্রশাসক ও শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের প্রতি, রাজবংশী জাতিকে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়াও মাগুরা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার ও বাংলাদেশ আদিবাসী কমিটি ফোরামের সুধী জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রাজবংশী নৃগোষ্ঠী সম্পর্কে মাগুরা জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক ফারজানা সুলতানা জানান, রাজবংশী যারা আছে তাদেরকে আমরা নৃগোষ্ঠী হিসেবে নিয়ে আসবো, তিনি আরও বলেন জনশুমারী তথ্যতে সেভাবে আছে ওরা তো নৃগোষ্ঠী, স্থানীয় প্রশাসন জেলা প্রশাসক ডিসি স্যার ও ইউএনও বললে তাদেরকে নৃগোষ্ঠী সদস্য করা হবে।
প্রিন্ট