ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র হাটকৃষ্ণপুর সাবপোষ্ট অফিসটি বর্তমানে অভিবাবকহীন জরাজীর্ন ভুতুড়ে পরিত্যাক্ত ঝুপড়িঘর। সামান্য বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে পানি পড়ে ঘরে বাধে জলবদ্ধতা। দরজা-জনালা ভাঙ্গা কাগজপত্র রাখতে হয় পলিথিন দিয়ে ঢেকে। চার চালা টিনের ঘরের বারান্দা ভেঙ্গে ঝুলে আছে। যে কোন সময় চাল ভেঙ্গে গ্রাহকদের হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চারপাশে পায়খানাও ড্রেনের দুগন্ধে অফিসে বসলে দোম বন্ধ হয়ে আসে।
পোষ্ট মাষ্টারের আবাসিক ভবনটি বিধদস্থ হয়ে গেছে। নেই আধুনিক সেবা দেয়ার মতো সুযোগসবিধা নিজস্ব কোন জায়গা জমি। বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ নেই। কর্মচারিদের বেতন থেকে বিদ্যুতের বিল দেয়া হয়। মাত্র ৫শ টাকার নাম মাত্র ভাড়ায় পোষ্ট অফিসটি চলে আসছে প্রায় ৫০ বছর। মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয়ের পোষ্ট অফিসটি নিজস্ব জায়গা ক্রয় করে ভবন নির্মানের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। যার ফলে গ্রাহকরা নানা ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম
জানা গেছে,১৯৭৪ সালে হাটকৃষ্ণপুর সাবপোষ্ট অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অফিস চলে ৫শ টাকার ভাড়ার চারচালা টিনের ঘরে। ঘরটি দীর্ঘদিনে সংস্কার ও মেরামত না করায় আজও সেই ৫শ টাকার ভাড়ায় পোষ্টঅফিস নানা সমস্যায় চলে আসচ্ছে। মোট ১৫ জন ষ্টাফ বিভিন্ন সমস্যায় প্রতিক’লের মধ্যে দয়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রতিমাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার লেনদেনের প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে অফিসের পোষ্ট মাষ্টার মোঃ আক্তারুজ্জামান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,চাকরির সার্থে আমরা এখানে কর্তব্য পালন করছি। কোন সুস্থ্য মানুষে এ ভবনে কাজ করতে পারেনা।
ফরিদপুর ডেপুডি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পোষ্ট অফিসটির নিজস্ব কোন জায়গাজমি না থাকায় আমরা ভবন নির্মাণ করতে পারছি না। এছাড়া সমস্যার কথা উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রিন্ট